#ইসলামী অর্থনীতি
Explore tagged Tumblr posts
mylordisallah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি ��িসেবে পাঠিয়েছেন। মানুষ নিজ জীবনে আল্লাহর আনুগত্য ও পৃথিবীর বুকে তাঁর আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করে। আর এটা মানব সৃষ্টির অন্যতম উদ্দেশ্যও বটে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন, আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি।
’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৩০)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের অর্থ
পবিত্র কোরআনে প্রতিনিধি বোঝাতে ব্যবহৃত ‘খলিফা’ শব্দের অর্থ নির্ণয়ে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, মানুষ আল্লাহর শরিয়ত প্রতিষ্ঠা, বিধান বাস্তবায়ন ও একত্ববাদের আহ্বানের ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রতিনিধি। আর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মানুষকে আল্লাহ প্রতিনিধি বলেছেন। কেননা সে আল্লাহর মুকাল্লাফ (ইসলামী আইনের অধীন ব্যক্তি) ব্যক্তিদের ভেতর তার বিধান প্রয়োগ করে।
(তাফসিরে ইবনুল জাওজি, পৃষ্ঠা-২৬)
প্রতিনিধিত্ব আল্লাহর অনুগ্রহ
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভ করা মুমিনের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন। সুতরাং কেউ কুফরি করলে তার কুফরির জন্য সে নিজেই দায়ী হবে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ৩৯)
ব্যক্তি হিসেবে নবীরাই আল্লাহর প্রতিনিধি
পৃথিবীতে ব্যক্তি হিসেবে নবী-রাসুলরাই ছিলেন সরাসরি আল্লাহর প্রতিনিধি। এ জন্য যেকোনো নবীকে আল্লাহর খলিফা বলার সুযোগ আছে।
পবিত্র কোরআনে দাউদ (আ.)-কে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, ‘হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব, তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কোরো এবং খেয়ালখুশির অনুসরণ কোরো না, কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৬)
সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খলিফাতুল্লাহ বলা যাবে?
কিন্তু তাঁদের পরে কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ‘খলিফাতুল্লাহ’ বা আল্লাহর প্রতিনিধি সম্বোধন করা অনুচিত। এক ব্যক্তি ওমর (রা.)-কে খলিফাতুল্লাহ বলে সম্বোধন করলে তিনি তাকে ভর্ত্সনা করে বলেন, ‘তোমার অমঙ্গল হোক! তুমি কতই না দূরবর্তী সম্বোধন করলে। আমার মা আমার নাম রেখেছেন ওমর। তুমি ��দি এই নামে আমাকে সম্বোধন করো ��মি তা মেনে নেব।
অতঃপর বড় হলে আমার উপনাম হয়েছে আবু হাফস। তুমি আমাকে এই নামে সম্বোধন করলে আমি তা মেনে নেব। অতঃপর তোমরা আমার ওপর তোমাদের বিষয়গুলো তথা খিলাফতের দায়িত্ব অর্পণ করেছ এবং নাম রেখেছ আমিরুল মুমিনিন। তুমি যদি এই নামে সম্বোধন করো, সেটাই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (আল ফুতুহাতুর রব্বানিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-৫৬)
মুমিনরা পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি
আল্লাহ মানবজাতিকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টি করলেও পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করেন কেবল মুমিনরা। কেননা অবিশ্বাসীরা আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের শর্তগুলো ভঙ্গ করেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদের এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দ্বিনকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন। আর তাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে তাদেরকে অবশ্য নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে, আমার কোনো শরিক করবে না। অতঃপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে তারা সত্যত্যাগী।’
(সুরা : নুর, আয়াত : ৫৫)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভের শর্ত
উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব লাভের দুটি শর্ত আরোপ করেছেন : ঈমান আনা ও নেক কাজ করা। উভয় শর্তের অধীনে আছে আরো একাধিক শর্ত। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো—
১. আসমান তথা আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন
২. দ্বিনি লক্ষ্য অর্জনে কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার
৩. অন্তরে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
৪. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসাকে সব কিছুর ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৫. পরকালকে ইহকালের ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৬. বিশুদ্ধ ঈমান ও আমলের মাধ্যমে পরকালের পাথেয় সংগ্রহ
৭. সমাজ ও রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন; যেমন—অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজবিজ্ঞান, কূটনীতি, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন
৮. জগত্বাসীকে মহান স্রষ্টার সঙ্গে যুক্ত করা এবং তাঁর পথে আহবান। (সুন্নাতুল্লাহ, পৃষ্ঠা-১৭১)
প্রতিনিধিত্ব পরিবর্তনশীল
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব ও বৈশ্বিক নেতৃত্ব পরিবর্তনশীল। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে বলল, শিগগিরই তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের শত্রু ধ্বংস করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। অতঃপর তোমরা কী করো তা তিনি লক্ষ করবেন।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১২৯)
আল্লাহ অযোগ্যকে প্রতিনিধিত্ব দেন না
আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব যোগ্য ব্যক্তিদের জন্যই নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং যারা অন্তরের বিশুদ্ধ বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে ভালো কাজ, বুদ্ধিবৃত্তি, শার���রিক সক্ষমতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় বলীয়ান হবে তারাই পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করবে এবং তারাই বৈশ্বিক নেতৃত্বের মুকুট লাভ করবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে পৃথিবীর নেতৃত্ব মানুষের হাতবদল হতে থাকে। নিম্নোক্ত আয়াতগুলো থেকে যা অনুধাবন করা যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি কিতাবে প্রত্যাদেশ দ্বারা বনি ইসরাঈলকে জানিয়েছিলাম, নিশ্চয়ই তোমরা পৃথিবীতে দুইবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমরা অতিশয় অহংকারে স্ফীত হবে। অতঃপর এই দুইয়ের প্রথমটির নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হলো, তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম আমার বান্দাদেরকে, যুদ্ধে অতিশয় শক্তিশালী; তারা ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সব ধ্বংস করেছিল। আর প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয়েই থাকে। অতঃপর আমি তোমাদেরকে পুনরায় তাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত করলাম, তোমাদেরকে ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করলাম এবং সংখ্যায় গরিষ্ঠ করলাম।’
(সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪-৬)
ধৈর্যই মুমিনের করণীয়
প্রায় শতাব্দীকাল যাবৎ মুসলিম জাতি পৃথিবীর নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়েছে এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে তারা কোণঠাসা। ফলে মুমিনের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তাহলে কেন আমরা বৈশ্বিক নেতৃত্বে নেই। এমন পরিস্থিতিতে মুমিনের করণীয় হলো ধৈর্য ও প্রত্যয়ের সঙ্গে নিজেদের বৈশ্বিক নেতৃত্বের যোগ্য করে তোলা। অবিশ্বাসীদের মন্তব্য ও তাচ্ছিল্যের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করা। আর অন্তরে এই বিশ্বাস রাখা যে আমরা যোগ্য হলে আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে নেতৃত্বে সমাসীন করবেন। কেননা আল্লাহর অঙ্গীকার হলো, ‘অতএব, তুমি ধৈর্য ধারণ করো, নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। যারা দৃঢ়বিশ্বাসী নয়, তারা যেন তোমাকে বিচলিত করতে না পারে।’
(সুরা : রোম, আয়াত : ৬০)
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
সৃষ্টি যার বিধান তাঁর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন?
https://www.youtube.com/watch?v=N5MrgvihY78
 
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
0 notes
myreligionislam · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন। মানুষ নিজ জীবনে আল্লাহর আনুগত্য ও পৃথিবীর বুকে তাঁর আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করে। আর এটা মানব সৃষ্টির অন্যতম উদ্দেশ্যও বটে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন, আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি।
’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৩০)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের অর্থ
পবিত্র কোরআনে প্রতিনিধি বোঝাতে ব্যবহৃত ‘খলিফা’ শব্দের অর্থ নির্ণয়ে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, মানুষ আল্লাহর শরিয়ত প্রতিষ্ঠা, বিধান বাস্তবায়ন ও একত্ববাদের আহ্বানের ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রতিনিধি। আর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মানুষকে আল্লাহ প্রতিনিধি বলেছেন। কেননা সে আল্লাহর মুকাল্লাফ (ইসলামী আইনের অধীন ব্যক্তি) ব্যক্তিদের ভেতর তার বিধান প্রয়োগ করে।
(তাফসিরে ইবনুল জাওজি, পৃষ্ঠা-২৬)
প্রতিনিধিত্ব আল্লাহর অনুগ্রহ
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভ করা মুমিনের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন। সুতরাং কেউ কুফরি করলে তার কুফরির জন্য সে নিজেই দায়ী হবে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ৩৯)
ব্যক্তি হিসেবে নবীরাই আল্লাহর প্রতিনিধি
পৃথিবীতে ব্যক্তি হিসেবে নবী-রাসুলরাই ছিলেন সরাসরি আল্লাহর প্রতিনিধি। এ জন্য যেকোনো নবীকে আল্লাহর খলিফা বলার সুযোগ আছে।
পবিত্র কোরআনে দাউদ (আ.)-কে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, ‘হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব, তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কোরো এবং খেয়ালখুশির অনুসরণ কোরো না, কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৬)
সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খলিফাতুল্লাহ বলা যাবে?
কিন্তু তাঁদের পরে কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ‘খলিফাতুল্লাহ’ বা আল্লাহর প্রতিনিধি সম্বোধন করা অনুচিত। এক ব্যক্তি ওমর (রা.)-কে খলিফাতুল্লাহ বলে সম্বোধন করলে তিনি তাকে ভর্ত্সনা করে বলেন, ‘তোমার অমঙ্গল হোক! তুমি কতই না দূরবর্তী সম্বোধন করলে। আমার মা আমার নাম রেখেছেন ওমর। তুমি যদি এই নামে আমাকে সম্বোধন করো আমি তা মেনে নেব।
অতঃপর বড় হলে আমার উপনাম হয়েছে আবু হাফস। তুমি আমাকে এই নামে সম্বোধন করলে আমি তা মেনে নেব। অতঃপর তোমরা আমার ওপর তোমাদের বিষয়গুলো তথা খিলাফতের দায়িত্ব অর্পণ করেছ এবং নাম রেখেছ আমিরুল মুমিনিন। তুমি যদি এই নামে সম্বোধন করো, সেটাই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (আল ফুতুহাতুর রব্বানিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-৫৬)
মুমিনরা পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি
আল্লাহ মানবজাতিকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টি করলেও পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করেন কেবল মুমিনরা। কেননা অবিশ্বাসীরা আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের শর্তগুলো ভঙ্গ করেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদের এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দ্বিনকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন। আর তাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে তাদেরকে অবশ্য নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে, আমার কোনো শরিক করবে না। অতঃপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে তারা সত্যত্যাগী।’
(সুরা : নুর, আয়াত : ৫৫)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভের শর্ত
উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব লাভের দুটি শর্ত আরোপ করেছেন : ঈমান আনা ও নেক কাজ করা। উভয় শর্তের অধীনে আছে আরো একাধিক শর্ত। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো—
১. আসমান তথা আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন
২. দ্বিনি লক্ষ্য অর্জনে কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার
৩. অন্তরে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
৪. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসাকে সব কিছুর ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৫. পরকালকে ইহকালের ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৬. বিশুদ্ধ ঈমান ও আমলের মাধ্যমে পরকালের পাথেয় সংগ্রহ
৭. সমাজ ও রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন; যেমন—অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজবিজ্ঞান, কূটনীতি, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন
৮. জগত্বাসীকে মহান স্রষ্টার সঙ্গে যুক্ত করা এবং তাঁর পথে আহবান। (সুন্নাতুল্লাহ, পৃষ্ঠা-১৭১)
প্রতিনিধিত্ব পরিবর্তনশীল
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব ও বৈশ্বিক নেতৃত্ব পরিবর্তনশীল। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে বলল, শিগগিরই তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের শত্রু ধ্বংস করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। অতঃপর তোমরা কী করো তা তিনি লক্ষ করবেন।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১২৯)
আল্লাহ অযোগ্যকে প্রতিনিধিত্ব দেন না
আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব যোগ্য ব্যক্তিদের জন্যই নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং যারা অন্তরের বিশুদ্ধ বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে ভালো কাজ, বুদ্ধিবৃত্তি, শারীরিক সক্ষমতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় বলীয়ান হবে তারাই পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করবে এবং তারাই বৈশ্বিক নেতৃত্বের মুকুট লাভ করবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে পৃথিবীর নেতৃত্ব মানুষের হাতবদল হতে থাকে। নিম্নোক্ত আয়াতগুলো থেকে যা অনুধাবন করা যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি কিতাবে প্রত্যাদেশ দ্বারা বনি ইসরাঈলকে জানিয়েছিলাম, নিশ্চয়ই তোমরা পৃথিবীতে দুইবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমরা অতিশয় অহংকারে স্ফীত হবে। অতঃপর এই দুইয়ের প্রথমটির নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হলো, তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম আমার বান্দাদেরকে, যুদ্ধে অতিশয় শক্তিশালী; তারা ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সব ধ্বংস করেছিল। আর প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয়েই থাকে। অতঃপর আমি তোমাদেরকে পুনরায় তাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত করলাম, তোমাদেরকে ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করলাম এবং সংখ্যায় গরিষ্ঠ করলাম।’
(সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪-৬)
ধৈর্যই মুমিনের করণীয়
প্রায় শতাব্দীকাল যাবৎ মুসলিম জাতি পৃথিবীর নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়েছে এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে তারা কোণঠাসা। ফলে মুমিনের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তাহলে কেন আমরা বৈশ্বিক নেতৃত্বে নেই। এমন পরিস্থিতিতে মুমিনের করণীয় হলো ধৈর্য ও প্রত্যয়ের সঙ্গে নিজেদের বৈশ্বিক নেতৃত্বের যোগ্য করে তোলা। অবিশ্বাসীদের মন্তব্য ও তাচ্ছিল্যের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করা। আর অন্তরে এই বিশ্বাস রাখা যে আমরা যোগ্য হলে আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে নেতৃত্বে সমাসীন করবেন। কেননা আল্লাহর অঙ্গীকার হলো, ‘অতএব, তুমি ধৈর্য ধারণ করো, নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। যারা দৃঢ়বিশ্বাসী নয়, তারা যেন তোমাকে বিচলিত করতে না পারে।’
(সুরা : রোম, আয়াত : ৬০)
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
সৃষ্টি যার বিধান তাঁর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন?
https://www.youtube.com/watch?v=N5MrgvihY78
 
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
0 notes
ilyforallahswt · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন। মানুষ নিজ জীবনে আল্লাহর আনুগত্য ও পৃথিবীর বুকে তাঁর আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করে। আর এটা মানব সৃষ্টির অন্যতম উদ্দেশ্যও বটে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন, আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি।
’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৩০)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের অর্থ
পবিত্র কোরআনে প্রতিনিধি বোঝাতে ব্যবহৃত ‘খলিফা’ শব্দের অর্থ নির্ণয়ে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, মানুষ আল্লাহর শরিয়ত প্রতিষ্ঠা, বিধান বাস্তবায়ন ও একত্ববাদের আহ্বানের ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রতিনিধি। আর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মানুষকে আল্লাহ প্রতিনিধি বলেছেন। কেননা সে আল্লাহর মুকাল্লাফ (ইসলামী আইনের অধীন ব্যক্তি) ব্যক্তিদের ভেতর তার বিধান প্রয়োগ করে।
(তাফসিরে ইবনুল জাওজি, পৃষ্ঠা-২৬)
প্রতিনিধিত্ব আল্লাহর অনুগ্রহ
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভ করা মুমিনের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন। সুতরাং কেউ কুফরি করলে তার কুফরির জন্য সে নিজেই দায়ী হবে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ৩৯)
ব্যক্তি হিসেবে নবীরাই আল্লাহর প্রতিনিধি
পৃথিবীতে ব্যক্তি হিসেবে নবী-রাসুলরাই ছিলেন সরাসরি আল্লাহর প্রতিনিধি। এ জন্য যেকোনো নবীকে আল্লাহর খলিফা বলার সুযোগ আছে।
পবিত্র কোরআনে দাউদ (আ.)-কে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, ‘হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব, তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কোরো এবং খেয়ালখুশির অনুসরণ কোরো না, কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৬)
সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খলিফাতুল্লাহ বলা যাবে?
কিন্তু তাঁদের পরে কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ‘খলিফাতুল্লাহ’ বা আল্লাহর প্রতিনিধি সম্বোধন করা অনুচিত। এক ব্যক্তি ওমর (রা.)-কে খলিফাতুল্লাহ বলে সম্বোধন করলে তিনি তাকে ভর্ত্সনা করে বলেন, ‘তোমার অমঙ্গল হোক! তুমি কতই না দূরবর্তী সম্বোধন করলে। আমার মা আমার নাম রেখেছেন ওমর। তুমি যদি এই নামে আমাকে সম্বোধন করো আমি তা মেনে নেব।
অতঃপর বড় হলে আমার উপনাম হয়েছে আবু হাফস। তুমি আমাকে এই নামে সম্বোধন করলে আমি তা মেনে নেব। অতঃপর তোমরা আমার ওপর তোমাদের বিষয়গুলো তথা খিলাফতের দায়িত্ব অর্পণ করেছ এবং নাম রেখেছ আমিরুল মুমিনিন। তুমি যদি এই নামে সম্বোধন করো, সেটাই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (আল ফুতুহাতুর রব্বানিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-৫৬)
মুমিনরা পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি
আল্লাহ মানবজাতিকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টি করলেও পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করেন কেবল মুমিনরা। কেননা অবিশ্বাসীরা আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের শর্তগুলো ভঙ্গ করেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদের এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দ্বিনকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন। আর তাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে তাদেরকে অবশ্য নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে, আমার কোনো শরিক করবে না। অতঃপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে তারা সত্যত্যাগী।’
(সুরা : নুর, আয়াত : ৫৫)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভের শর্ত
উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব লাভের দুটি শর্ত আরোপ করেছেন : ঈমান আনা ও নেক কাজ করা। উভয় শর্তের অধীনে আছে আরো একাধিক শর্ত। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো—
১. আসমান তথা আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন
২. দ্বিনি লক্ষ্য অর্জনে কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার
৩. অন্তরে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
৪. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসাকে সব কিছুর ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৫. পরকালকে ইহকালের ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৬. বিশুদ্ধ ঈমান ও আমলের মাধ্যমে পরকালের পাথেয় সংগ্রহ
৭. সমাজ ও রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন; যেমন—অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজবিজ্ঞান, কূটনীতি, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন
৮. জগত্বাসীকে মহান স্রষ্টার সঙ্গে যুক্ত করা এবং তাঁর পথে আহবান। (সুন্নাতুল্লাহ, পৃষ্ঠা-১৭১)
প্রতিনিধিত্ব পরিবর্তনশীল
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব ও বৈশ্বিক নেতৃত্ব পরিবর্তনশীল। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে বলল, শিগগিরই তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের শত্রু ধ্বংস করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। অতঃপর তোমরা কী করো তা তিনি লক্ষ করবেন।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১২৯)
আল্লাহ অযোগ্যকে প্রতিনিধিত্ব দেন না
আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব যোগ্য ব্যক্তিদের জন্যই নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং যারা অন্তরের বিশুদ্ধ বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে ভালো কাজ, বুদ্ধিবৃত্তি, শারীরিক সক্ষমতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় বলীয়ান হবে তারাই পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করবে এবং তারাই বৈশ্বিক নেতৃত্বের মুকুট লাভ করবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে পৃথিবীর নেতৃত্ব মানুষের হাতবদল হতে থাকে। নিম্নোক্ত আয়াতগুলো থেকে যা অনুধাবন করা যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি কিতাবে প্রত্যাদেশ দ্বারা বনি ইসরাঈলকে জানিয়েছিলাম, নিশ্চয়ই তোমরা পৃথিবীতে দুইবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমরা অতিশয় অহংকারে স্ফীত হবে। অতঃপর এই দুইয়ের প্রথমটির নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হলো, তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম আমার বান্দাদেরকে, যুদ্ধে অতিশয় শক্তিশালী; তারা ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সব ধ্বংস করেছিল। আর প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয়েই থাকে। অতঃপর আমি তোমাদেরকে পুনরায় তাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত করলাম, তোমাদেরকে ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করলাম এবং সংখ্যায় গরিষ্ঠ করলাম।’
(সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪-৬)
ধৈর্যই মুমিনের করণীয়
প্রায় শতাব্দীকাল যাবৎ মুসলিম জাতি পৃথিবীর নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়েছে এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে তারা কোণঠাসা। ফলে মুমিনের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তাহলে কেন আমরা বৈশ্বিক নেতৃত্বে নেই। এমন পরিস্থিতিতে মুমিনের করণীয় হলো ধৈর্য ও প্রত্যয়ের সঙ্গে নিজেদের বৈশ্বিক নেতৃত্বের যোগ্য করে তোলা। অবিশ্বাসীদের মন্তব্য ও তাচ্ছিল্যের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করা। আর অন্তরে এই বিশ্বাস রাখা যে আমরা যোগ্য হলে আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে নেতৃত্বে সমাসীন করবেন। কেননা আল্লাহর অঙ্গীকার হলো, ‘অতএব, তুমি ধৈর্য ধারণ করো, নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। যারা দৃঢ়বিশ্বাসী নয়, তারা যেন তোমাকে বিচলিত করতে না পারে।’
(সুরা : রোম, আয়াত : ৬০)
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
সৃষ্টি যার বিধান তাঁর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন?
https://www.youtube.com/watch?v=N5MrgvihY78
 
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন। মানুষ নিজ জীবনে আল্লাহর আনুগত্য ও পৃথিবীর বুকে তাঁর আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করে। আর এটা মানব সৃষ্টির অন্যতম উদ্দেশ্যও বটে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন, আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি।
’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৩০)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের অর্থ
পবিত্র কোরআনে প্রতিনিধি বোঝাতে ব্যবহৃত ‘খলিফা’ শব্দের অর্থ নির্ণয়ে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, মানুষ আল্লাহর শরিয়ত প্রতিষ্ঠা, বিধান বাস্তবায়ন ও একত্ববাদের আহ্বানের ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রতিনিধি। আর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মানুষকে আল্লাহ প্রতিনিধি বলেছেন। কেননা সে আল্লাহর মুকাল্লাফ (ইসলামী আইনের অধীন ব্যক্তি) ব্যক্তিদের ভেতর তার বিধান প্রয়োগ করে।
(তাফসিরে ইবনুল জাওজি, পৃষ্ঠা-২৬)
প্রতিনিধিত্ব আল্লাহর অনুগ্রহ
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভ করা মুমিনের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন। সুতরাং কেউ কুফরি করলে তার কুফরির জন্য সে নিজেই দায়ী হবে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ৩৯)
ব্যক্তি হিসেবে নবীরাই আল্লাহর প্রতিনিধি
পৃথিবীত��� ব্যক্তি হিসেবে নবী-রাসুলরাই ছিলেন সরাসরি আল্লাহর প্রতিনিধি। এ জন্য যেকোনো নবীকে আল্লাহর খলিফা বলার সুযোগ আছে।
পবিত্র কোরআনে দাউদ (আ.)-কে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, ‘হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব, তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কোরো এবং খেয়ালখুশির অনুসরণ কোরো না, কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৬)
সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খলিফাতুল্লাহ বলা যাবে?
কিন্তু তাঁদের পরে কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ‘খলিফাতুল্লাহ’ বা আল্লাহর প্রতিনিধি সম্বোধন করা অনুচিত। এক ব্যক্তি ওমর (রা.)-কে খলিফাতুল্লাহ বলে সম্বোধন করলে তিনি তাকে ভর্ত্সনা করে বলেন, ‘তোমার অমঙ্গল হোক! তুমি কতই না দূরবর্তী সম্বোধন করলে। আমার মা আমার নাম রেখেছেন ওমর। তুমি যদি এই নামে আমাকে সম্বোধন করো আমি তা মেনে নেব।
অতঃপর বড় হলে আমার উপনাম হয়েছে আবু হাফস। তুমি আমাকে এই নামে সম্বোধন করলে আমি তা মেনে নেব। অতঃপর তোমরা আমার ওপর তোমাদের বিষয়গুলো তথা খিলাফতের দায়িত্ব অর্পণ করেছ এবং নাম রেখেছ আমিরুল মুমিনিন। তুমি যদি এই নামে সম্বোধন করো, সেটাই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (আল ফুতুহাতুর রব্বানিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-৫৬)
মুমিনরা পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি
আল্লাহ মানবজাতিকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টি করলেও পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করেন কেবল মুমিনরা। কেননা অবিশ্বাসীরা আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের শর্তগুলো ভঙ্গ করেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদের এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দ্বিনকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন। আর তাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে তাদেরকে অবশ্য নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে, আমার কোনো শরিক করবে না। অতঃপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে তারা সত্যত্যাগী।’
(সুরা : নুর, আয়াত : ৫৫)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভের শর্ত
উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব লাভের দুটি শর্ত আরোপ করেছেন : ঈমান আনা ও নেক কাজ করা। উভয় শর্তের অধীনে আছে আরো একাধিক শর্ত। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো—
১. আসমান তথা আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন
২. দ্বিনি লক্ষ্য অর্জনে কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার
৩. অন্তরে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
৪. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসাকে সব কিছুর ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৫. পরকালকে ইহকালের ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৬. বিশুদ্ধ ঈমান ও আমলের মাধ্যমে পরকালের পাথেয় সংগ্রহ
৭. সমাজ ও রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন; যেমন—অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজবিজ্ঞান, কূটনীতি, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন
৮. জগত্বাসীকে মহান স্রষ্টার সঙ্গে যুক্ত করা এবং তাঁর পথে আহবান। (সুন্নাতুল্লাহ, পৃষ্ঠা-১৭১)
প্রতিনিধিত্ব পরিবর্তনশীল
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব ও বৈশ্বিক নেতৃত্ব পরিবর্তনশীল। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে বলল, শিগগিরই তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের শত্রু ধ্বংস করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। অতঃপর তোমরা কী করো তা তিনি লক্ষ করবেন।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১২৯)
আল্লাহ অযোগ্যকে প্রতিনিধিত্ব দেন না
আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব যোগ্য ব্যক্তিদের জন্যই নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং যারা অন্তরের বিশুদ্ধ বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে ভালো কাজ, বুদ্ধিবৃত্তি, শারীরিক সক্ষমতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় বলীয়ান হবে তারাই পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করবে এবং তারাই বৈশ্বিক নেতৃত্বের মুকুট লাভ করবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে পৃথিবীর নেতৃত্ব মানুষের হাতবদল হতে থাকে। নিম্নোক্ত আয়াতগুলো থেকে যা অনুধাবন করা যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি কিতাবে প্রত্যাদেশ দ্বারা বনি ইসরাঈলকে জানিয়েছিলাম, নিশ্চয়ই তোমরা পৃথিবীতে দুইবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমরা অতিশয় অহংকারে স্ফীত হবে। অতঃপর এই দুইয়ের প্রথমটির নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হলো, তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম আমার বান্দাদেরকে, যুদ্ধে অতিশয় শক্তিশালী; তারা ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সব ধ্বংস করেছিল। আর প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয়েই থাকে। অতঃপর আমি তোমাদেরকে পুনরায় তাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত করলাম, তোমাদেরকে ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করলাম এবং সংখ্যায় গরিষ্ঠ করলাম।’
(সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪-৬)
ধৈর্যই মুমিনের করণীয়
প্রায় শতাব্দীকাল যাবৎ মুসলিম জাতি পৃথিবীর নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়েছে এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে তারা কোণঠাসা। ফলে মুমিনের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তাহলে কেন আমরা বৈশ্বিক নেতৃত্বে নেই। এমন পরিস্থিতিতে মুমিনের করণীয় হলো ধৈর্য ও প্রত্যয়ের সঙ্গে নিজেদের বৈশ্বিক নেতৃত্বের যোগ্য করে তোলা। অবিশ্বাসীদের মন্তব্য ও তাচ্ছিল্যের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করা। আর অন্তরে এই বিশ্বাস রাখা যে আমরা যোগ্য হলে আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে নেতৃত্বে সমাসীন করবেন। কেননা আল্লাহর অঙ্গীকার হলো, ‘অতএব, তুমি ধৈর্য ধারণ করো, নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। যারা দৃঢ়বিশ্বাসী নয়, তারা যেন তোমাকে বিচলিত করতে না পারে।’
(সুরা : রোম, আয়াত : ৬০)
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
সৃষ্টি যার বিধান তাঁর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন?
https://www.youtube.com/watch?v=N5MrgvihY78
 
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
0 notes
quransunnahdawah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন। মানুষ নিজ জীবনে আল্লাহর আনুগত্য ও পৃথিবীর বুকে তাঁর আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করে। আর এটা মানব সৃষ্টির অন্যতম উদ্দেশ্যও বটে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন, আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি।
’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৩০)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের অর্থ
পবিত্র কোরআনে প্রতিনিধি বোঝাতে ব্যবহৃত ‘খলিফা’ শব্দের অর্থ নির্ণয়ে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, মানুষ আল্লাহর শরিয়ত প্রতিষ্ঠা, বিধান বাস্তবায়ন ও একত্ববাদের আহ্বানের ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রতিনিধি। আর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মানুষকে আল্লাহ প্রতিনিধি বলেছেন। কেননা সে আল্লাহর মুকাল্লাফ (ইসলামী আইনের অধীন ব্যক্তি) ব্যক্তিদের ভেতর তার বিধান প্রয়োগ করে।
(তাফসিরে ইবনুল জাওজি, পৃষ্ঠা-২৬)
প্রতিনিধিত্ব আল্লাহর অনুগ্রহ
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভ করা মুমিনের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন। সুতরাং কেউ কুফরি করলে তার কুফরির জন্য সে নিজেই দায়ী হবে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ৩৯)
ব্যক্তি হিসেবে নবীরাই আল্লাহর প্রতিনিধি
পৃথিবীতে ব্যক্তি হিসেবে নবী-রাসুলরাই ছিলেন সরাসরি আল্লাহর প্রতিনিধি। এ জন্য যেকোনো নবীকে আল্লাহর খলিফা বলার সুযোগ আছে।
পবিত্র কোরআনে দাউদ (আ.)-কে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, ‘হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব, তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কোরো এবং খেয়ালখুশির অনুসরণ কোরো না, কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৬)
সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খলিফাতুল্লাহ বলা যাবে?
কিন্তু তাঁদের পরে কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ‘খলিফাতুল্লাহ’ বা আল্লাহর প্রতিনিধি সম্বোধন করা অনুচিত। এক ব্যক্তি ওমর (রা.)-কে খলিফাতুল্লাহ বলে সম্বোধন করলে তিনি তাকে ভর্ত্সনা করে বলেন, ‘তোমার অমঙ্গল হোক! তুমি কতই না দূরবর্তী সম্বোধন করলে। আমার মা আমার নাম রেখেছেন ওমর। তুমি যদি এই নামে আমাকে সম্বোধন করো আমি তা মেনে নেব।
অতঃপর বড় হলে আমার উপনাম হয়েছে আবু হাফস। তুমি আমাকে এই নামে সম্বোধন করলে আমি তা মেনে নেব। অতঃপর তোমরা আমার ওপর তোমাদের বিষয়গুলো তথা খিলাফতের দায়িত্ব অর্পণ করেছ এবং নাম রেখেছ আমিরুল মুমিনিন। তুমি যদি এই নামে সম্বোধন করো, সেটাই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (আল ফুতুহাতুর রব্বানিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-৫৬)
মুমিনরা পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি
আল্লাহ মানবজাতিকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টি করলেও পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করেন কেবল মুমিনরা। কেননা অবিশ্বাসীরা আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের শর্তগুলো ভঙ্গ করেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদের এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দ্বিনকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন। আর তাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে তাদেরকে অবশ্য নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে, আমার কোনো শরিক করবে না। অতঃপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে তারা সত্যত্যাগী।’
(সুরা : নুর, আয়াত : ৫৫)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভের শর্ত
উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব লাভের দুটি শর্ত আরোপ করেছেন : ঈমান আনা ও নেক কাজ করা। উভয় শর্তের অধীনে আছে আরো একাধিক শর্ত। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো—
১. আসমান তথা আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন
২. দ্বিনি লক্ষ্য অর্জনে কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার
৩. অন্তরে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
৪. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসাকে সব কিছুর ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৫. পরকালকে ইহকালের ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৬. বিশুদ্ধ ঈমান ও আমলের মাধ্যমে পরকালের পাথেয় সংগ্রহ
৭. সমাজ ও রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন; যেমন—অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজবিজ্ঞান, কূটনীতি, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন
৮. জগত্বাসীকে মহান স্রষ্টার সঙ্গে যুক্ত করা এবং তাঁর পথে আহবান। (সুন্নাতুল্লাহ, পৃষ্ঠা-১৭১)
প্রতিনিধিত্ব পরিবর্তনশীল
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব ও বৈশ্বিক নেতৃত্ব পরিবর্তনশীল। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে বলল, শিগগিরই তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের শত্রু ধ্বংস করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। অতঃপর তোমরা কী করো তা তিনি লক্ষ করবেন।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১২৯)
আল্লাহ অযোগ্যকে প্রতিনিধিত্ব দেন না
আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব যোগ্য ব্যক্তিদের জন্যই নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং যারা অন্তরের বিশুদ্ধ বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে ভালো কাজ, বুদ্ধিবৃত্তি, শারীরিক সক্ষমতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় বলীয়ান হবে তারাই পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করবে এবং তারাই বৈশ্বিক নেতৃত্বের মুকুট লাভ করবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে পৃথিবীর নেতৃত্ব মানুষের হাতবদল হতে থাকে। নিম্নোক্ত আয়াতগুলো থেকে যা অনুধাবন করা যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি কিতাবে প্রত্যাদেশ দ্বারা বনি ইসরাঈলকে জানিয়েছিলাম, নিশ্চয়ই তোমরা পৃথিবীতে দুইবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমরা অতিশয় অহংকারে স্ফীত হবে। অতঃপর এই দুইয়ের প্রথমটির নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হলো, তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম আমার বান্দাদেরকে, যুদ্ধে অতিশয় শক্তিশালী; তারা ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সব ধ্বংস করেছিল। আর প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয়েই থাকে। অতঃপর আমি তোমাদেরকে পুনরায় তাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত করলাম, তোমাদেরকে ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করলাম এবং সংখ্যায় গরিষ্ঠ করলাম।’
(সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪-৬)
ধৈর্যই মুমিনের করণীয়
প্রায় শতাব্দীকাল যাবৎ মুসলিম জাতি পৃথিবীর নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়েছে এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে তারা কোণঠাসা। ফলে মুমিনের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তাহলে কেন আমরা বৈশ্বিক নেতৃত্বে নেই। এমন পরিস্থিতিতে মুমিনের করণীয় হলো ধৈর্য ও প্রত্যয়ের সঙ্গে নিজেদের বৈশ্বিক নেতৃত্বের যোগ্য করে তোলা। অবিশ্বাসীদের মন্তব্য ও তাচ্ছিল্যের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করা। আর অন্তরে এই বিশ্বাস রাখা যে আমরা যোগ্য হলে আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে নেতৃত্বে সমাসীন করবেন। কেননা আল্লাহর অঙ্গীকার হলো, ‘অতএব, তুমি ধৈর্য ধারণ করো, নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। যারা দৃঢ়বিশ্বাসী নয়, তারা যেন তোমাকে বিচলিত করতে না পারে।’
(সুরা : রোম, আয়াত : ৬০)
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
সৃষ্টি যার বিধান তাঁর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন?
https://www.youtube.com/watch?v=N5MrgvihY78
 
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
0 notes
allahisourrabb · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন। মানুষ নিজ জীবনে আল্লাহর আনুগত্য ও পৃথিবীর বুকে তাঁর আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করে। আর এটা মানব সৃষ্টির অন্যতম উদ্দেশ্যও বটে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন, আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি।
’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৩০)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের অর্থ
পবিত্র কোরআনে প্রতিনিধি বোঝাতে ব্যবহৃত ‘খলিফা’ শব্দের অর্থ নির্ণয়ে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, মানুষ আল্লাহর শরিয়ত প্রতিষ্ঠা, বিধান বাস্তবায়ন ও একত্ববাদের আহ্বানের ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রতিনিধি। আর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মানুষকে আল্লাহ প্রতিনিধি বলেছেন। কেননা সে আল্লাহর মুকাল্লাফ (ইসলামী আইনের অধীন ব্যক্তি) ব্যক্তিদের ভেতর তার বিধান প্রয়োগ করে।
(তাফসিরে ইবনুল জাওজি, পৃষ্ঠা-২৬)
প্রতিনিধিত্ব আল্লাহর অনুগ্রহ
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভ করা মুমিনের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন। সুতরাং কেউ কুফরি করলে তার কুফরির জন্য সে নিজেই দায়ী হবে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ৩৯)
ব্যক্তি হিসেবে নবীরাই আল্লাহর প্রতিনিধি
পৃথিবীতে ব্যক্তি হিসেবে নবী-রাসুলরাই ছিলেন সরাসরি আল্লাহর প্রতিনিধি। এ জন্য যেকোনো নবীকে আল্লাহর খলিফা বলার সুযোগ আছে।
পবিত্র কোরআনে দাউদ (আ.)-কে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, ‘হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব, তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কোরো এবং খেয়ালখুশির অনুসরণ কোরো না, কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৬)
সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খলিফাতুল্লাহ বলা যাবে?
কিন্তু তাঁদের পরে কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ‘খলিফাতুল্লাহ’ বা আল্লাহর প্রতিনিধি সম্বোধন করা অনুচিত। এক ব্যক্তি ওমর (রা.)-কে খলিফাতুল্লাহ বলে সম্বোধন করলে তিনি তাকে ভর্ত্সনা করে বলেন, ‘তোমার অমঙ্গল হোক! তুমি কতই না দূরবর্তী সম্বোধন করলে। আমার মা আমার নাম রেখেছেন ওমর। তুমি যদি এই নামে আমাকে সম্বোধন করো আমি তা মেনে নেব।
��তঃপর বড় হলে আমার উপনাম হয়েছে আবু হাফস। তুমি আমাকে এই নামে সম্বোধন করলে আমি তা মেনে নেব। অতঃপর তোমরা আমার ওপর তোমাদের বিষয়গুলো তথা খিলাফতের দায়িত্ব অর্পণ করেছ এবং নাম রেখেছ আমিরুল মুমিনিন। তুমি যদি এই নামে সম্বোধন করো, সেটাই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (আল ফুতুহাতুর রব্বানিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-৫৬)
মুমিনরা পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি
আল্লাহ মানবজাতিকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টি করলেও পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করেন কেবল মুমিনরা। কেননা অবিশ্বাসীরা আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের শর্তগুলো ভঙ্গ করেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদের এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দ্বিনকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন। আর তাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে তাদেরকে অবশ্য নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে, আমার কোনো শরিক করবে না। অতঃপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে তারা সত্যত্যাগী।’
(সুরা : নুর, আয়াত : ৫৫)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভের শর্ত
উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব লাভের দুটি শর্ত আরোপ করেছেন : ঈমান আনা ও নেক কাজ করা। উভয় শর্তের অধীনে আছে আরো একাধিক শর্ত। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো—
১. আসমান তথা আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন
২. দ্বিনি লক্ষ্য অর্জনে কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার
৩. অন্তরে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
৪. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসাকে সব কিছুর ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৫. পরকালকে ইহকালের ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৬. বিশুদ্ধ ঈমান ও আমলের মাধ্যমে পরকালের পাথেয় সংগ্রহ
৭. সমাজ ও রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন; যেমন—অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজবিজ্ঞান, কূটনীতি, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন
৮. জগত্বাসীকে মহান স্রষ্টার সঙ্গে যুক্ত করা এবং তাঁর পথে আহবান। (সুন্নাতুল্লাহ, পৃষ্ঠা-১৭১)
প্রতিনিধিত্ব পরিবর্তনশীল
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব ও বৈশ্বিক নেতৃত্ব পরিবর্তনশীল। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে বলল, শিগগিরই তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের শত্রু ধ্বংস করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। অতঃপর তোমরা কী করো তা তিনি লক্ষ করবেন।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১২৯)
আল্লাহ অযোগ্যকে প্রতিনিধিত্ব দেন না
আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব যোগ্য ব্যক্তিদের জন্যই নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং যারা অন্তরের বিশুদ্ধ বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে ভালো কাজ, বুদ্ধিবৃত্তি, শারীরিক সক্ষমতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় বলীয়ান হবে তারাই পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করবে এবং তারাই বৈশ্বিক নেতৃত্বের মুকুট লাভ করবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে পৃথিবীর নেতৃত্ব মানুষের হাতবদল হতে থাকে। নিম্নোক্ত আয়াতগুলো থেকে যা অনুধাবন করা যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি কিতাবে প্রত্যাদেশ দ্বারা বনি ইসরাঈলকে জানিয়েছিলাম, নিশ্চয়ই তোমরা পৃথিবীতে দুইবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমরা অতিশয় অহংকারে স্ফীত হবে। অতঃপর এই দুইয়ের প্রথমটির নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হলো, তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম আমার বান্দাদেরকে, যুদ্ধে অতিশয় শক্তিশালী; তারা ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সব ধ্বংস করেছিল। আর প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয়েই থাকে। অতঃপর আমি তোমাদেরকে পুনরায় তাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত করলাম, তোমাদেরকে ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করলাম এবং সংখ্যায় গরিষ্ঠ করলাম।’
(সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪-৬)
ধৈর্যই মুমিনের করণীয়
প্রায় শতাব্দীকাল যাবৎ মুসলিম জাতি পৃথিবীর নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়েছে এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে তারা কোণঠাসা। ফলে মুমিনের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তাহলে কেন আমরা বৈশ্বিক নেতৃত্বে নেই। এমন পরিস্থিতিতে মুমিনের করণীয় হলো ধৈর্য ও প্রত্যয়ের সঙ্গে নিজেদের বৈশ্বিক নেতৃত্বের যোগ্য করে তোলা। অবিশ্বাসীদের মন্তব্য ও তাচ্ছিল্যের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করা। আর অন্তরে এই বিশ্বাস রাখা যে আমরা যোগ্য হলে আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে নেতৃত্বে সমাসীন করবেন। কেননা আল্লাহর অঙ্গীকার হলো, ‘অতএব, তুমি ধৈর্য ধারণ করো, নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। যারা দৃঢ়বিশ্বাসী নয়, তারা যেন তোমাকে বিচলিত করতে না পারে।’
(সুরা : রোম, আয়াত : ৬০)
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
সৃষ্টি যার বিধান তাঁর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন?
https://www.youtube.com/watch?v=N5MrgvihY78
 
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
0 notes
peacetubeofficial · 6 years ago
Video
youtube
দানশীলতার মাহাত্ম, খন্ড ৩, ইসলামী অর্থনীতি, ভাগ ৮৩, Islami Arthonitee, Shaikh Abdul Hamid Faizi
0 notes
hkawser · 2 years ago
Photo
Tumblr media
#শোকসংবাদ বিশ্ব বরেণ্য স্কলার ও ইসলামী চিন্তাবিদ শাইখ প্রফেসর ড. ইউসুফ আল কারযাভী ৯৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন। انا لله انا اليه راجعون ইসলামী আন্দোলন, মানব জীবন, সামাজিক বিধান, রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, দর্শনসহ নানা দিক বিভাগ নিয়ে অসংখ্য বই লিখেছেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের ইসলামী জগরণে তার ভূমিকা অনন্য। মিশরীয় বংশদ্ভূত দ্বীনের বিশিষ্ট খাদেম কারযাভী মুসলিম ব্রাদারহুড সরকার পতনের পর থেকে কাতারে নির্বাসিত জীবন যাপন করেছেন। মহান আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের সান্যিধ্যে থাকার তাওফিক দান করুন। https://www.instagram.com/p/Ci-E2aKpBtS/?igshid=NGJjMDIxMWI=
1 note · View note
donetbd · 2 years ago
Text
ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত, সম্পাদক জয়
ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত, সম্পাদক জয়
দীর্ঘ সাত মাস পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আইন বিভাগের ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতকে সভাপতি ও অর্থনীতি বিভাগের নাসিম আহমেদ জয়কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে, রোববার (৩১ জুলাই) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২৪ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির অন্য…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
onnodristy · 2 years ago
Text
ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত, সম্পাদক জয়
ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত, সম্পাদক জয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আইন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত সভাপতি এবং অর্থনীতি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের নাসিম আহমেদ জয় সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আইন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত সভ���পতি এবং অর্থনীতি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের নাসিম আহমেদ জয় সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন। রোববার রাত ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এই কমিটির অনুমোদন দেন। ২৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যান্যরা হলেন-…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
mylordisallah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন। মানুষ নিজ জীবনে আল্লাহর আনুগত্য ও পৃথিবীর বুকে তাঁর আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করে। আর এটা মানব সৃষ্টির অন্যতম উদ্দেশ্যও বটে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন, আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি।
’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৩০)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের অর্থ
পবিত্র কোরআনে প্রতিনিধি বোঝাতে ব্যবহৃত ‘খলিফা’ শব্দের অর্থ নির্ণয়ে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, মানুষ আল্লাহর শরিয়ত প্রতিষ্ঠা, বিধান বাস্তবায়ন ও একত্ববাদের আহ্বানের ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রতিনিধি। আর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মানুষকে আল্লাহ প্রতিনিধি বলেছেন। কেননা সে আল্লাহর মুকাল্লাফ (ইসলামী আইনের অধীন ব্যক্তি) ব্যক্তিদের ভেতর তার বিধান প্রয়োগ করে।
(তাফসিরে ইবনুল জাওজি, পৃষ্ঠা-২৬)
প্রতিনিধিত্ব আল্লাহর অনুগ্রহ
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভ করা মুমিনের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন। সুতরাং কেউ কুফরি করলে তার কুফরির জন্য সে নিজেই দায়ী হবে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ৩৯)
ব্যক্তি হিসেবে নবীরাই আল্লাহর প্রতিনিধি
পৃথিবীতে ব্যক্তি হিসেবে নবী-রাসুলরাই ছিলেন সরাসরি আল্লাহর প্রতিনিধি। এ জন্য যেকোনো নবীকে আল্লাহর খলিফা বলার সুযোগ আছে।
পবিত্র কোরআনে দাউদ (আ.)-কে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, ‘হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব, তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কোরো এবং খেয়ালখুশির অনুসরণ কোরো না, কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৬)
সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খলিফাতুল্লাহ বলা যাবে?
কিন্তু তাঁদের পরে কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ‘খলিফাতুল্লাহ’ বা আল্লাহর প্রতিনিধি সম্বোধন করা অনুচিত। এক ব্যক্তি ওমর (রা.)-কে খলিফাতুল্লাহ বলে সম্বোধন করলে তিনি তাকে ভর্ত্সনা করে বলেন, ‘তোমার অমঙ্গল হোক! তুমি কতই না দূরবর্তী সম্বোধন করলে। আমার মা আমার নাম রেখেছেন ওমর। তুমি যদি এই নামে আমাকে সম্বোধন করো আমি তা মেনে নেব।
অতঃপর বড় হলে আমার উপনাম হয়েছে আবু হাফস। তুমি আমাকে এই নামে সম্বোধন করলে আমি তা মেনে নেব। অতঃপর তোমরা আমার ওপর তোমাদের বিষয়গুলো তথা খিলাফতের দায়িত্ব অর্পণ করেছ এবং নাম রেখেছ আমিরুল মুমিনিন। তুমি যদি এই নামে সম্বোধন করো, সেটাই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (আল ফুতুহাতুর রব্বানিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-৫৬)
মুমিনরা পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি
আল্লাহ মানবজাতিকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টি করলেও পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করেন কেবল মুমিনরা। কেননা অবিশ্বাসীরা আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের শর্তগুলো ভঙ্গ করেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদের এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দ্বিনকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন। আর তাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে তাদেরকে অবশ্য নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে, আমার কোনো শরিক করবে না। অতঃপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে তারা সত্যত্যাগী।’
(সুরা : নুর, আয়াত : ৫৫)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভের শর্ত
উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব লাভের দুটি শর্ত আরোপ করেছেন : ঈমান আনা ও নেক কাজ করা। উভয় শর্তের অধীনে আছে আরো একাধিক শর্ত। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো—
১. আসমান তথা আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন
২. দ্বিনি লক্ষ্য অর্জনে কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার
৩. অন্তরে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
৪. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসাকে সব কিছুর ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৫. পরকালকে ইহকালের ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৬. বিশুদ্ধ ঈমান ও আমলের মাধ্যমে পরকালের পাথেয় সংগ্রহ
৭. সমাজ ও রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন; যেমন—অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজবিজ্ঞান, কূটনীতি, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন
৮. জগত্বাসীকে মহান স্রষ্টার সঙ্গে যুক্ত করা এবং তাঁর পথে আহবান। (সুন্নাতুল্লাহ, পৃষ্ঠা-১৭১)
প্রতিনিধিত্ব পরিবর্তনশীল
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব ও বৈশ্বিক নেতৃত্ব পরিবর্তনশীল। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে বলল, শিগগিরই তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের শত্রু ধ্বংস করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। অতঃপর তোমরা কী করো তা তিনি লক্ষ করবেন।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১২৯)
আল্লাহ অযোগ্যকে প্রতিনিধিত্ব দেন না
আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব যোগ্য ব্যক্তিদের জন্যই নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং যারা অন্তরের বিশুদ্ধ বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে ভালো কাজ, বুদ্ধিবৃত্তি, শারীরিক সক্ষমতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় বলীয়ান হবে তারাই পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করবে এবং তারাই বৈশ্বিক নেতৃত্বের মুকুট লাভ করবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে পৃথিবীর নেতৃত্ব মানুষের হাতবদল হতে থাকে। নিম্নোক্ত আয়াতগুলো থেকে যা অনুধাবন করা যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি কিতাবে প্রত্যাদেশ দ্বারা বনি ইসরাঈলকে জানিয়েছিলাম, নিশ্চয়ই তোমরা পৃথিবীতে দুইবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমরা অতিশয় অহংকারে স্ফীত হবে। অতঃপর এই দুইয়ের প্রথমটির নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হলো, তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম আমার বান্দাদেরকে, যুদ্ধে অতিশয় শক্তিশালী; তারা ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সব ধ্বংস করেছিল। আর প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয়েই থাকে। অতঃপর আমি তোমাদেরকে পুনরায় তাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত করলাম, তোমাদেরকে ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করলাম এবং সংখ্যায় গরিষ্ঠ করলাম।’
(সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪-৬)
ধৈর্যই মুমিনের করণীয়
প্রায় শতাব্দীকাল যাবৎ মুসলিম জাতি পৃথিবীর নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়েছে এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে তারা কোণঠাসা। ফলে মুমিনের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তাহলে কেন আমরা বৈশ্বিক নেতৃত্বে নেই। এমন পরিস্থিতিতে মুমিনের করণীয় হলো ধৈর্য ও প্রত্যয়ের সঙ্গে নিজেদের বৈশ্বিক নেতৃত্বের যোগ্য করে তোলা। অবিশ্বাসীদের মন্তব্য ও তাচ্ছিল্যের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করা। আর অন্তরে এই বিশ্বাস রাখা যে আমরা যোগ্য হলে আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে নেতৃত্বে সমাসীন করবেন। কেননা আল্লাহর অঙ্গীকার হলো, ‘অতএব, তুমি ধৈর্য ধারণ করো, নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। যারা দৃঢ়বিশ্বাসী নয়, তারা যেন তোমাকে বিচলিত করতে না পারে।’
(সুরা : রোম, আয়াত : ৬০)
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
সৃষ্টি যার বিধান তাঁর
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন?
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
0 notes
myreligionislam · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে খেলাফত ব্যবস্থা কি?
খিলাফত: একটি ইসলামী শাসনব্যবস্থা যেখানে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় । নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ, এবং রাষ্ট্রপ্রধান (খলিফা) হলেন নবী মুহাম্মদের উত্তরসূরি। বিকল্প বানানগুলির মধ্যে রয়েছে খিলাফা, খুলাফা, খলিফা এবং খলিফাত।
ইসলামী খেলাফত : একটি পর্যালোচনা
ইসলাম একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলামের বিধান সকল যুগে সকল মানুষের জন্য চিরস্থায়ীভাবে চিরকল্যাণকর। মূলতঃ ইসলামের তাওহীদী মূল দর্শনের উপরেই গড়ে উঠেছে রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার মূল ভিত। মৌলিকভাবে ইসলামী খেলাফত বিশ্বমানবতাকে এক শান্তিময় সমাজ উপহার দিয়েছে। যা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে। উল্লেখ্য যে, মানুষের সমাজ জীবনসহ তাদের সার্বিক জীবনকে পরিপূর্ণভাবে সুন্দর ও সুবিন্যস্ত এবং শান্তিময় করার জন্য যতগুলো সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তন্মধ্যে রাষ্ট্র হচ্ছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বোচ্চ সংস্থা। আর নির্দিষ্ট ভূখন্ড, জনসমষ্টি, সরকার ও সার্বভৌমত্ব হ’ল একটি রাষ্ট্রের মূল উপাদান।
খেলাফতের পরিচয় :
‘খেলাফত’ (اَلْخِلَافَةُ) শব্দটি আরবী, যা اسم مصدر। خَلَفَ يَخْلفُ خِلَافَةً অর্থাৎ স্থলাভিষিক্ত হওয়া। বাব نصر-ينصر। মাছদার اَلْخِلَافَةُ অর্থঃ ইমারত, ইমামত, শাসন, কর্তৃত্ব প্রভৃতি। পারিভাষিক অর্থে ‘আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও আইনগত কর্তৃত্বকে স্বীকার করে নিয়ে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর মৌলিক নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে পরিগঠিত রাষ্ট্র ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাকে ইসলামী খেলাফত বলা হয়। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, ‘খেলাফত বলতে এমন রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে বুঝায় যা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত’। মোটকথা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শ বাস্তবায়ন করার প্রতিনিধিত্বই হল খেলাফত।
পরিস্থিতি মূল্যায়ন :
আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির যুগে সমস্ত বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। পৃথিবীর এক প্রান্তের খবর অন্য প্রান্তে পৌঁছানো যেন মুহূর্তের ব্যাপার। তাই নিজ দেশের পরিস্থিতিকে আর বিশ্ব পরিস্থিতি থেকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। মাত্র কয়েকদিন পূর্বে মিয়ানমারের গণতন্ত্রের মানসকন্যা খ্যাত ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সূচি তথাকথিত গণতান্ত্রিক বিজয়ের জয়মাল্য পরিধান করেছেন। বুকভরা আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিল লাঞ্ছিত, অবহেলিত ও বঞ্চিত আরাকানের অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিম মানবতা। কিন্তু বিশ্বকে হতাশ ও বিমূঢ় করে ১৯৪২, ১৯৭৮ ও ১৯৯২-এর ন্যায় ২০১২ সালের ৮ই জুন সূচি’র দেশের নরপশু সদৃশ সামরিক বাহিনী কর্তৃক নিরীহ মযলুম রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর অমানুষিক নির্যাতনের ষ্টীমরোলার চালায়। ছুটে আসে তারা আশ্রয় নেওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী মুসলিম রাষ্ট্রের দিকে। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদীদের পদলেহী আমাদের মুসলিম নামধারী সরকার চূড়ান্ত অমানবিকতা প্রদর্শন করে তাদের এতটুকু আশ্রয় প্রদান করতে সম্মত হয়নি। বিশ্ববাসী এই অমানবিক নিপীড়নের মর্মান্তিক দৃশ্য অসহায়ের মত অশ্রুসজল নেত্রে অবলোকন করেছে। তাদের চোখে অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়েছে যে, মানুষের তৈরী করা বিভিন্ন মতবাদ ও তন্ত্রমন্ত্রের হোতাদের নগ্ন চেহারা কত বীভৎস। তাই সারাবিশ্ব এখন উন্মুখ হয়ে চেয়ে আছে মুক্তির প্রকৃত সত্য পথের দিকে।
উন্নত রাষ্ট্র আর উন্নয়নশীল বিকাশমান রাষ্ট্রের (মুসলিম বা অমুসলিম) দিকে দৃষ্টি দিলে সহজেই বুঝা যায় যে, বিশ্ব সভ্যতার সূচনাকারী এবং বিশ্ব মানবতার সুখ-শান্তি, নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদানকারী ও অধিকর্তা মুসলিম জাতির অবস্থা আজ অত্যন্ত করুণ। জাতিসংঘ ও ফ্যাসিবাদী সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে নিশ্চিহ্ন ও উজাড় করে চলেছে একের পর এক মুসলিম জনপদ ও দেশসমূহকে। পারমাণবিক বোমা নামক মারণাস্ত্রের আঘাতে জর্জরিত অসহায় মানবতা অত্যাচার-নির্যাতনে নিষ্পিষ্ট ও নিগৃহীত হচ্ছে অবিরত। অন্যদিকে চরম অনৈতিকতার বিস্তার ঘটছে তাদের চালু করা আকাশ সংস্কৃতির বিভিন্ন রকমারী আয়োজনের হিংস্র থাবায়। পাশাপাশি রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল (?) রাখতে অনুসরণ করছে মস্তিষ্কপ্রসূত নানা মতবাদের। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনুসরণ করছে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জাতীয়তাবাদ প্রভৃতি বস্ত্তবাদী মতাদর্শের। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনুসরণ করছে সূদ-ঘুষের পুঁজিবাদী অর্থনীতি। ধর্মীয় ক্ষেত্রে অনুসরণ করছে তথাকথিত মাযহাব, মতবাদ, ইযম, তরীকাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিশেষের মতাদর্শ। এছাড়া দেশের আদালতগুলিতে ইসলামী বিধান অনুযায়ী বিচার ব্যবস্থা না থাকায় মানবরচিত আইনে মুমিনকে জেল-ফাঁসি বরণ করতে হচ্ছে। ফলে আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা এবং সামাজিক অস্থিতিশীলতা ব্যাপকতা লাভ করেছে। এভাবেই সমস্ত দুনিয়া আজ মিথ্যা, অন্যায়, অকল্যাণের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।
ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা
মুসলিমদের সামগ্রিক জীবনে ইসলামপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামী খেলাফত বা রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। নির্ভেজাল তাওহিদ বা শিরকমুক্ত ঈমান বজায় রাখা, হালাল-হারাম উপার্জনের নিশ্চয়তা, জিনা-ধর্ষণ, হত্যারোধ, ��ৈষম্যমুক্ত অর্থনীতি প্রচলনসহ ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনের বাস্তবায়নে ইসলামী খেলাফত বিকল্পহীন একটি ব্যবস্থা। তাই এটিই ইসলামের একটি বড় ও জরুরি ফরজ। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহর নির্দেশ ও ঘোষণা হচ্ছে- ১. নিশ্চয়ই পৃথিবীতে আমি খলিফা (প্রতিনিধি শাসক) পাঠাব। (সূরা বাকারা, আয়াত-৩০) ২. আল্লাহর নাজিলকৃত বিধানানুযায়ী যারা বিচার করে না, তারা কাফির। যারা আল্লাহর বিধানানুযায়ী বিচারকার্য সম্পাদন করে না, তারা জালিম। যারা আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান অনুসারে বিচার করে না, তারা ফাসিক। (সূরা মায়িদা, আয়াত : ৪৪-৪৫-৪৭)
৩. আমরা আমাদের রাসূলগণকে প্রেরণ করেছি সুস্পষ্ট প্রমাণসহ এবং তাদের সাথে নাজিল করেছি কিতাব ও মিজান (দাঁড়িপাল্লা), যাতে লোকেরা ন্যায়বিচার করতে পারে। আমি লৌহ নাজিল করেছি, যাতে রয়েছে প্রচণ্ড শক্তি এবং মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ। (সূরা আল-হাদিদ, আয়াত-২৫) ৪. হে রাসূল, আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, আপনি তা দিয়ে বিচার-ফায়সালা/শাসন করুন। আপনার কাছে যে সত্য এসেছে, সে ব্যাপারে ওদের মনগড়া কথাবার্তার অনুসরণ করবেন না। (সূরা মায়িদা, আয়াত-৪৯) ৫. নিশ্চয়ই আমি আপনার ওপর সত্যতার সাথে কিতাব নাজিল করেছি, যাতে করে আপনি আল্লাহর দেখানো বিধান দিয়ে লোকদের মধ্যে বিচার ফায়সালা করতে পারেন। আর আপনি বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষে ওকালতি করবেন না। (সূরা নিসা, আয়াত-১০৫)
৬. হে দাউদ, আমি আপনাকে পৃথিবীতে খলিফা বানিয়েছি। অতএব, আপনি মানুষের মধ্যে সত্যতার সাথে বিচার-ফায়সালা করুন। প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। (সূরা সাদ, আয়াত-২৬) ৭. তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। (সূরা বাকারা-১০২) ৮. তিনি সেই মহান সত্তা, যিনি তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্যদ্বীনসহ পাঠিয়েছেন যেন তাঁকে সব দ্বীনের ওপর বিজয়ী করেন। (সূরা সফ-৯)
 
খলিফা কারা?
ইসলামি পরিভাষায় খলিফা হলেন এমন ব্যক্তি যিনি যাবতীয় বিষয়ে শরিয়ত অনুযায়ী সমস্ত উম্মতকে পরিচালিত করেন। ইসলামি রাষ্ট্রে খলিফা সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী। তিনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে গভর্নর, শাসক, নেতা, কাজি নিযুক্ত করেন।
খলিফা হওয়ার শর্তাবলি
শর্তগুলোর প্রধান কয়েকটি হলো:
মুসলিম হওয়া
প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়া
পুরুষ হওয়া
স্বাধীন হওয়া
ন্যায়পরায়ণ হওয়া
বিবেকসম্পন্ন হওয়া
জ্ঞান (ইলম) থাকা
উম্মাহ দরদী ও কাফেরদের সাথে আপোষহীন।
ইসলামী খেলাফত ব্যবস্থার মূলনীতি
youtube
খেলাফত বা ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার পদ্ধতি কি?
youtube
আসলে কি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সব সমস্যার সমাধান হবে 
youtube
ইসলামী খেলাফত ব্যবস্থার মূলনীতি
Principles of Islamic Caliphate System
0 notes
ilyforallahswt · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে খেলাফত ব্যবস্থা কি?
খিলাফত: একটি ইসলামী শাসনব্যবস্থা যেখানে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় । নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ, এবং রাষ্ট্রপ্রধান (খলিফা) হলেন নবী মুহাম্মদের উত্তরসূরি। বিকল্প বানানগুলির মধ্যে রয়েছে খিলাফা, খুলাফা, খলিফা এবং খলিফাত।
ইসলামী খেলাফত : একটি পর্যালোচনা
ইসলাম একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলামের বিধান সকল যুগে সকল মানুষের জন্য চিরস্থায়ীভাবে চিরকল্যাণকর। মূলতঃ ইসলামের তাওহীদী মূল দর্শনের উপরেই গড়ে উঠেছে রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার মূল ভিত। মৌলিকভাবে ইসলামী খেলাফত বিশ্বমানবতাকে এক শান্তিময় সমাজ উপহার দিয়েছে। যা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে। উল্লেখ্য যে, মানুষের সমাজ জীবনসহ তাদের সার্বিক জীবনকে পরিপূর্ণভাবে সুন্দর ও সুবিন্যস্ত এবং শান্তিময় করার জন্য যতগুলো সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তন্মধ্যে রাষ্ট্র হচ্ছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বোচ্চ সংস্থা। আর নির্দিষ্ট ভূখন্ড, জনসমষ্টি, সরকার ও সার্বভৌমত্ব হ’ল একটি রাষ্ট্রের মূল উপাদান।
খেলাফতের পরিচয় :
‘খেলাফত’ (اَلْخِلَافَةُ) শব্দটি আরবী, যা اسم مصدر। خَلَفَ يَخْلفُ خِلَافَةً অর্থাৎ স্থলাভিষিক্ত হওয়া। বাব نصر-ينصر। মাছদার اَلْخِلَافَةُ অর্থঃ ইমারত, ইমামত, শাসন, কর্তৃত্ব প্রভৃতি। পারিভাষিক অর্থে ‘আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও আইনগত কর্তৃত্বকে স্বীকার করে নিয়ে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর মৌলিক নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে পরিগঠিত রাষ্ট্র ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাকে ইসলামী খেলাফত বলা হয়। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, ‘খেলাফত বলতে এমন রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে বুঝায় যা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত’। মোটকথা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শ বাস্তবায়ন করার প্রতিনিধিত্বই হল খেলাফত।
পরিস্থিতি মূল্যায়ন :
আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির যুগে সমস্ত বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। পৃথিবীর এক প্রান্তের খবর অন্য প্রান্তে পৌঁছানো যেন মুহূর্তের ব্যাপার। তাই নিজ দেশের পরিস্থিতিকে আর বিশ্ব পরিস্থিতি থেকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। মাত্র কয়েকদিন পূর্বে মিয়ানমারের গণতন্ত্রের মানসকন্যা খ্যাত ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সূচি তথাকথিত গণতান্ত্রিক বিজয়ের জয়মাল্য পরিধান করেছেন। বুকভরা আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিল লাঞ্ছিত, অবহেলিত ও বঞ্চিত আরাকানের অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিম মানবতা। কিন্তু বিশ্বকে হতাশ ও বিমূঢ় করে ১৯৪২, ১৯৭৮ ও ১৯৯২-এর ন্যায় ২০১২ সালের ৮ই জুন সূচি’র দেশের নরপশু সদৃশ সামরিক বাহিনী কর্তৃক নিরীহ মযলুম রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর অমানুষিক নির্যাতনের ষ্টীমরোলার চালায়। ছুটে আসে তারা আশ্রয় নেওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী মুসলিম রাষ্ট্রের দিকে। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদীদের পদলেহী আমাদের মুসলিম নামধারী সরকার চূড়ান্ত অমানবিকতা প্রদর্শন করে তাদের এতটুকু আশ্রয় প্রদান করতে সম্মত হয়নি। বিশ্ববাসী এই অমানবিক নিপীড়নের মর্মান্তিক দৃশ্য অসহায়ের মত অশ্রুসজল নেত্রে অবলোকন করেছে। তাদের চোখে অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়েছে যে, মানুষের তৈরী করা বিভিন্ন মতবাদ ও তন্ত্রমন্ত্রের হোতাদের নগ্ন চেহারা কত বীভৎস। তাই সারা��িশ্ব এখন উন্মুখ হয়ে চেয়ে আছে মুক্তির প্রকৃত সত্য পথের দিকে।
উন্নত রাষ্ট্র আর উন্নয়নশীল বিকাশমান রাষ্ট্রের (মুসলিম বা অমুসলিম) দিকে দৃষ্টি দিলে সহজেই বুঝা যায় যে, বিশ্ব সভ্যতার সূচনাকারী এবং বিশ্ব মানবতার সুখ-শান্তি, নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদানকারী ও অধিকর্তা মুসলিম জাতির অবস্থা আজ অত্যন্ত করুণ। জাতিসংঘ ও ফ্যাসিবাদী সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে নিশ্চিহ্ন ও উজাড় করে চলেছে একের পর এক মুসলিম জনপদ ও দেশসমূহকে। পারমাণবিক বোমা নামক মারণাস্ত্রের আঘাতে জর্জরিত অসহায় মানবতা অত্যাচার-নির্যাতনে নিষ্পিষ্ট ও নিগৃহীত হচ্ছে অবিরত। অন্যদিকে চরম অনৈতিকতার বিস্তার ঘটছে তাদের চালু করা আকাশ সংস্কৃতির বিভিন্ন রকমারী আয়োজনের হিংস্র থাবায়। পাশাপাশি রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল (?) রাখতে অনুসরণ করছে মস্তিষ্কপ্রসূত নানা মতবাদের। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনুসরণ করছে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জাতীয়তাবাদ প্রভৃতি বস্ত্তবাদী মতাদর্শের। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনুসরণ করছে সূদ-ঘুষের পুঁজিবাদী অর্থনীতি। ধর্মীয় ক্ষেত্রে অনুসরণ করছে তথাকথিত মাযহাব, মতবাদ, ইযম, তরীকাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিশেষের মতাদর্শ। এছাড়া দেশের আদালতগুলিতে ইসলামী বিধান অনুযায়ী বিচার ব্যবস্থা না থাকায় মানবরচিত আইনে মুমিনকে জেল-ফাঁসি বরণ করতে হচ্ছে। ফলে আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা এবং সামাজিক অস্থিতিশীলতা ব্যাপকতা লাভ করেছে। এভাবেই সমস্ত দুনিয়া আজ মিথ্যা, অন্যায়, অকল্যাণের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।
ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা
মুসলিমদের সামগ্রিক জীবনে ইসলামপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামী খেলাফত বা রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। নির্ভেজাল তাওহিদ বা শিরকমুক্ত ঈমান বজায় রাখা, হালাল-হারাম উপার্জনের নিশ্চয়তা, জিনা-ধর্ষণ, হত্যারোধ, বৈষম্যমুক্ত অর্থনীতি প্রচলনসহ ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনের বাস্তবায়নে ইসলামী খেলাফত বিকল্পহীন একটি ব্যবস্থা। তাই এটিই ইসলামের একটি বড় ও জরুরি ফরজ। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহর নির্দেশ ও ঘোষণা হচ্ছে- ১. নিশ্চয়ই পৃথিবীতে আমি খলিফা (প্রতিনিধি শাসক) পাঠাব। (সূরা বাকারা, আয়াত-৩০) ২. আল্লাহর নাজিলকৃত বিধানানুযায়ী যারা বিচার করে না, তারা কাফির। যারা আল্লাহর বিধানানুযায়ী বিচারকার্য সম্পাদন করে না, তারা জালিম। যারা আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান অনুসারে বিচার করে না, তারা ফাসিক। (সূরা মায়িদা, আয়াত : ৪৪-৪৫-৪৭)
৩. আমরা আমাদের রাসূলগণকে প্রেরণ করেছি সুস্পষ্ট প্রমাণসহ এবং তাদের সাথে নাজিল করেছি কিতাব ও মিজান (দাঁড়িপাল্লা), যাতে লোকেরা ন্যায়বিচার করতে পারে। আমি লৌহ নাজিল করেছি, যাতে রয়েছে প্রচণ্ড শক্তি এবং মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ। (সূরা আল-হাদিদ, আয়াত-২৫) ৪. হে রাসূল, আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, আপনি তা দিয়ে বিচার-ফায়সালা/শাসন করুন। আপনার কাছে যে সত্য এসেছে, সে ব্যাপারে ওদের মনগড়া কথাবার্তার অনুসরণ করবেন না। (সূরা মায়িদা, আয়াত-৪৯) ৫. নিশ্চয়ই আমি আপনার ওপর সত্যতার সাথে কিতাব নাজিল করেছি, যাতে করে আপনি আল্লাহর দেখানো বিধান দিয়ে লোকদের মধ্যে বিচার ফায়সালা করতে পারেন। আর আপনি বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষে ওকালতি করবেন না। (সূরা নিসা, আয়াত-১০৫)
৬. হে দাউদ, আমি আপনাকে পৃথিবীতে খলিফা বানিয়েছি। অতএব, আপনি মানুষের মধ্যে সত্যতার সাথে বিচার-ফায়সালা করুন। প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। (সূরা সাদ, আয়াত-২৬) ৭. তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। (সূরা বাকারা-১০২) ৮. তিনি সেই মহান সত্তা, যিনি তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্যদ্বীনসহ পাঠিয়েছেন যেন তাঁকে সব দ্বীনের ওপর বিজয়ী করেন। (সূরা সফ-৯)
 
খলিফা কারা?
ইসলামি পরিভাষায় খলিফা হলেন এমন ব্যক্তি যিনি যাবতীয় বিষয়ে শরিয়ত অনুযায়ী সমস্ত উম্মতকে পরিচালিত করেন। ইসলামি রাষ্ট্রে খলিফা সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী। তিনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে গভর্নর, শাসক, নেতা, কাজি নিযুক্ত করেন।
খলিফা হওয়ার শর্তাবলি
শর্তগুলোর প্রধান কয়েকটি হলো:
মুসলিম হওয়া
প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়া
পুরুষ হওয়া
স্বাধীন হওয়া
ন্যায়পরায়ণ হওয়া
বিবেকসম্পন্ন হওয়া
জ্ঞান (ইলম) থাকা
উম্মাহ দরদী ও কাফেরদের সাথে আপোষহীন।
ইসলামী খেলাফত ব্যবস্থার মূলনীতি
youtube
খেলাফত বা ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার পদ্ধতি কি?
youtube
আসলে কি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সব সমস্যার সমাধান হবে 
youtube
ইসলামী খেলাফত ব্যবস্থার মূলনীতি
Principles of Islamic Caliphate System
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে খেলাফত ব্যবস্থা কি?
খিলাফত: একটি ইসলামী শাসনব্যবস্থা যেখানে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় । নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ, এবং রাষ্ট্রপ্রধান (খলিফা) হলেন নবী মুহাম্মদের উত্তরসূরি। বিকল্প বানানগুলির মধ্যে রয়েছে খিলাফা, খুলাফা, খলিফা এবং খলিফাত।
ইসলামী খেলাফত : একটি পর্যালোচনা
ইসলাম একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলামের বিধান সকল যুগে সকল মানুষের জন্য চিরস্থায়ীভাবে চিরকল্যাণকর। মূলতঃ ইসলামের তাওহীদী মূল দর্শনের উপরেই গড়ে উঠেছে রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার মূল ভিত। মৌলিকভাবে ইসলামী খেলাফত বিশ্বমানবতাকে এক শান্তিময় সমাজ উপহার দিয়েছে। যা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে। উল্লেখ্য যে, মানুষের সমাজ জীবনসহ তাদের সার্বিক জীবনকে পরিপূর্ণভাবে সুন্দর ও সুবিন্যস্ত এবং শান্তিময় করার জন্য যতগুলো সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তন্মধ্যে রাষ্ট্র হচ্ছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বোচ্চ সংস্থা। আর নির্দিষ্ট ভূখন্ড, জনসমষ্টি, সরকার ও সার্বভৌমত্ব হ’ল একটি রাষ্ট্রের মূল উপাদান।
খেলাফতের পরিচয় :
‘খেলাফত’ (اَلْخِلَافَةُ) শব্দটি আরবী, যা اسم مصدر। خَلَفَ يَخْلفُ خِلَافَةً অর্থাৎ স্থলাভিষিক্ত হওয়া। বাব نصر-ينصر। মাছদার اَلْخِلَافَةُ অর্থঃ ইমারত, ইমামত, শাসন, কর্তৃত্ব প্রভৃতি। পারিভাষিক অর্থে ‘আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও আইনগত কর্তৃত্বকে স্বীকার করে নিয়ে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর মৌলিক নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে পরিগঠিত রাষ্ট্র ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাকে ইসলামী খেলাফত বলা হয়। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, ‘খেলাফত বলতে এমন রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে বুঝায় যা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত’। মোটকথা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শ বাস্তবায়ন করার প্রতিনিধিত্বই হল খেলাফত।
পরিস্থিতি মূল্যায়ন :
আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির যুগে সমস্ত বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। পৃথিবীর এক প্রান্তের খবর অন্য প্রান্তে পৌঁছানো যেন মুহূর্তের ব্যাপার। তাই নিজ দেশের পরিস্থিতিকে আর বিশ্ব পরিস্থিতি থেকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। মাত্র কয়েকদিন পূর্বে মিয়ানমারের গণতন্ত্রের মানসকন্যা খ্যাত ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সূচি তথাকথিত গণতান্ত্রিক বিজয়ের জয়মাল্য পরিধান করেছেন। বুকভরা আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিল লাঞ্ছিত, অবহেলিত ও বঞ্চিত আরাকানের অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিম মানবতা। কিন্তু বিশ্বকে হতাশ ও বিমূঢ় করে ১৯৪২, ১৯৭৮ ও ১৯৯২-এর ন্যায় ২০১২ সালের ৮ই জুন সূচি’র দেশের নরপশু সদৃশ সামরিক বাহিনী কর্তৃক নিরীহ মযলুম রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর অমানুষিক নির্যাতনের ষ্টীমরোলার চালায়। ছুটে আসে তারা আশ্রয় নেওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী মুসলিম রাষ্ট্রের দিকে। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদীদের পদলেহী আমাদের মুসলিম নামধারী সরকার চূড়ান্ত অমানবিকতা প্রদর্শন করে তাদের এতটুকু আশ্রয় প্রদান করতে সম্মত হয়নি। বিশ্ববাসী এই অমানবিক নিপীড়নের মর্মান্তিক দৃশ্য অসহায়ের মত অশ্রুসজল নেত্রে অবলোকন করেছে। তাদের চোখে অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়েছে যে, মানুষের তৈরী করা বিভিন্ন মতবাদ ও তন্ত্রমন্ত্রের হোতাদের নগ্ন চেহারা কত বীভৎস। তাই সারাবিশ্ব এখন উন্মুখ হয়ে চেয়ে আছে মুক্তির প্রকৃত সত্য পথের দিকে।
উন্নত রাষ্ট্র আর উন্নয়নশীল বিকাশমান রাষ্ট্রের (মুসলিম বা অমুসলিম) দিকে দৃষ্টি দিলে সহজেই বুঝা যায় যে, বিশ্ব সভ্যতার সূচনাকারী এবং বিশ্ব মানবতার সুখ-শান্তি, নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদানকারী ও অধিকর্তা মুসলিম জাতির অবস্থা আজ অত্যন্ত করুণ। জাতিসংঘ ও ফ্যাসিবাদী সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে নিশ্চিহ্ন ও উজাড় করে চলেছে একের পর এক মুসলিম জনপদ ও দেশসমূহকে। পারমাণবিক বোমা নামক মারণাস্ত্রের আঘাতে জর্জরিত অসহায় মানবতা অত্যাচার-নির্যাতনে নিষ্পিষ্ট ও নিগৃহীত হচ্ছে অবিরত। অন্যদিকে চরম অনৈতিকতার বিস্তার ঘটছে তাদের চালু করা আকাশ সংস্কৃতির বিভিন্ন রকমারী আয়োজনের হিংস্র থাবায়। পাশাপাশি রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল (?) রাখতে অনুসরণ করছে মস্তিষ্কপ্রসূত নানা মতবাদের। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনুসরণ করছে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জাতীয়তাবাদ প্রভৃতি বস্ত্তবাদী মতাদর্শের। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনুসরণ করছে সূদ-ঘুষের পুঁজিবাদী অর্থনীতি। ধর্মীয় ক্ষেত্রে অনুসরণ করছে তথাকথিত মাযহাব, মতবাদ, ইযম, তরীকাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিশেষের মতাদর্শ। এছাড়া দেশের আদালতগুলিতে ইসল��মী বিধান অনুযায়ী বিচার ব্যবস্থা না থাকায় মানবরচিত আইনে মুমিনকে জেল-ফাঁসি বরণ করতে হচ্ছে। ফলে আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা এবং সামাজিক অস্থিতিশীলতা ব্যাপকতা লাভ করেছে। এভাবেই সমস্ত দুনিয়া আজ মিথ্যা, অন্যায়, অকল্যাণের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।
ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা
মুসলিমদের সামগ্রিক জীবনে ইসলামপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামী খেলাফত বা রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। নির্ভেজাল তাওহিদ বা শিরকমুক্ত ঈমান বজায় রাখা, হালাল-হারাম উপার্জনের নিশ্চয়তা, জিনা-ধর্ষণ, হত্যারোধ, বৈষম্যমুক্ত অর্থনীতি প্রচলনসহ ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনের বাস্তবায়নে ইসলামী খেলাফত বিকল্পহীন একটি ব্যবস্থা। তাই এটিই ইসলামের একটি বড় ও জরুরি ফরজ। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহর নির্দেশ ও ঘোষণা হচ্ছে- ১. নিশ্চয়ই পৃথিবীতে আমি খলিফা (প্রতিনিধি শাসক) পাঠাব। (সূরা বাকারা, আয়াত-৩০) ২. আল্লাহর নাজিলকৃত বিধানানুযায়ী যারা বিচার করে না, তারা কাফির। যারা আল্লাহর বিধানানুযায়ী বিচারকার্য সম্পাদন করে না, তারা জালিম। যারা আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান অনুসারে বিচার করে না, তারা ফাসিক। (সূরা মায়িদা, আয়াত : ৪৪-৪৫-৪৭)
৩. আমরা আমাদের রাসূলগণকে প্রেরণ করেছি সুস্পষ্ট প্রমাণসহ এবং তাদের সাথে নাজিল করেছি কিতাব ও মিজান (দাঁড়িপাল্লা), যাতে লোকেরা ন্যায়বিচার করতে পারে। আমি লৌহ নাজিল করেছি, যাতে রয়েছে প্রচণ্ড শক্তি এবং মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ। (সূরা আল-হাদিদ, আয়াত-২৫) ৪. হে রাসূল, আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, আপনি তা দিয়ে বিচার-ফায়সালা/শাসন করুন। আপনার কাছে যে সত্য এসেছে, সে ব্যাপারে ওদের মনগড়া কথাবার্তার অনুসরণ করবেন না। (সূরা মায়িদা, আয়াত-৪৯) ৫. নিশ্চয়ই আমি আপনার ওপর সত্যতার সাথে কিতাব নাজিল করেছি, যাতে করে আপনি আল্লাহর দেখানো বিধান দিয়ে লোকদের মধ্যে বিচার ফায়সালা করতে পারেন। আর আপনি বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষে ওকালতি করবেন না। (সূরা নিসা, আয়াত-১০৫)
৬. হে দাউদ, আমি আপনাকে পৃথিবীতে খলিফা বানিয়েছি। অতএব, আপনি মানুষের মধ্যে সত্যতার সাথে বিচার-ফায়সালা করুন। প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। (সূরা সাদ, আয়াত-২৬) ৭. তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। (সূরা বাকারা-১০২) ৮. তিনি সেই মহান সত্তা, যিনি তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্যদ্বীনসহ পাঠিয়েছেন যেন তাঁকে সব দ্বীনের ওপর বিজয়ী করেন। (সূরা সফ-৯)
 
খলিফা কারা?
ইসলামি পরিভাষায় খলিফা হলেন এমন ব্যক্তি যিনি যাবতীয় বিষয়ে শরিয়ত অনুযায়ী সমস্ত উম্মতকে পরিচালিত করেন। ইসলামি রাষ্ট্রে খলিফা সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী। তিনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে গভর্নর, শাসক, নেতা, কাজি নিযুক্ত করেন।
খলিফা হওয়ার শর্তাবলি
শর্তগুলোর প্রধান কয়েকটি হলো:
মুসলিম হওয়া
প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়া
পুরুষ হওয়া
স্বাধীন হওয়া
ন্যায়পরায়ণ হওয়া
বিবেকসম্পন্ন হওয়া
জ্ঞান (ইলম) থাকা
উম্মাহ দরদী ও কাফেরদের সাথে আপোষহীন।
ইসলামী খেলাফত ব্যবস্থার মূলনীতি
youtube
খেলাফত বা ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার পদ্ধতি কি?
youtube
আসলে কি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সব সমস্যার সমাধান হবে 
youtube
ইসলামী খেলাফত ব্যবস্থার মূলনীতি
Principles of Islamic Caliphate System
0 notes
quransunnahdawah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে খেলাফত ব্যবস্থা কি?
খিলাফত: একটি ইসলামী শাসনব্যবস্থা যেখানে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় । নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ, এবং রাষ্ট্রপ্রধান (খলিফা) হলেন নবী মুহাম্মদের উত্তরসূরি। বিকল্প বানানগুলির মধ্যে রয়েছে খিলাফা, খুলাফা, খলিফা এবং খলিফাত।
ইসলামী খেলাফত : একটি পর্যালোচনা
ইসলাম একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলামের বিধান সকল যুগে সকল মানুষের জন্য চিরস্থায়ীভাবে চিরকল্যাণকর। মূলতঃ ইসলামের তাওহীদী মূল দর্শনের উপরেই গড়ে উঠেছে রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার মূল ভিত। মৌলিকভাবে ইসলামী খেলাফত বিশ্বমানবতাকে এক শান্তিময় সমাজ উপহার দিয়েছে। যা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে। উল্লেখ্য যে, মানুষের সমাজ জীবনসহ তাদের সার্বিক জীবনকে পরিপূর্ণভাবে সুন্দর ও সুবিন্যস্ত এবং শান্তিময় করার জন্য যতগুলো সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তন্মধ্যে রাষ্ট্র হচ্ছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বোচ্চ সংস্থা। আর নির্দিষ্ট ভূখন্ড, জনসমষ্টি, সরকার ও সার্বভৌমত্ব হ’ল একটি রাষ্ট্রের মূল উপাদান।
খেলাফতের পরিচয় :
‘খেলাফত’ (اَلْخِلَافَةُ) শব্দটি আরবী, যা اسم مصدر। خَلَفَ يَخْلفُ خِلَافَةً অর্থাৎ স্থলাভিষিক্ত হওয়া। বাব نصر-ينصر। মাছদার اَلْخِلَافَةُ অর্থঃ ইমারত, ইমামত, শাসন, কর্তৃত্ব প্রভৃতি। পারিভাষিক অর্থে ‘আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও আইনগত কর্তৃত্বকে স্বীকার করে নিয়ে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর মৌলিক নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে পরিগঠিত রাষ্ট্র ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাকে ইসলামী খেলাফত বলা হয়। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, ‘খেলাফত বলতে এমন রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে বুঝায় যা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত’। মোটকথা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শ বাস্তবায়ন করার প্রতিনিধিত্বই হল খেলাফত।
পরিস্থিতি মূল্যায়ন :
আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির যুগে সমস্ত বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। পৃথিবীর এক প্রান্তের খবর অন্য প্রান্তে পৌঁছানো যেন মুহূর্তের ব্যাপার। তাই নিজ দেশের পরিস্থিতিকে আর বিশ্ব পরিস্থিতি থেকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। মাত্র কয়েকদিন পূর্বে মিয়ানমারের গণতন্ত্রের মানসকন্যা খ্যাত ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সূচি তথাকথিত গণতান্ত্রিক বিজয়ের জয়মাল্য পরিধান করেছেন। বুকভরা আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিল লাঞ্ছিত, অবহেলিত ও বঞ্চিত আরাকানের অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিম মানবতা। কিন্তু বিশ্বকে হতাশ ও বিমূঢ় করে ১৯৪২, ১৯৭৮ ও ১৯৯২-এর ন্যায় ২০১২ সালের ৮ই জুন সূচি’র দেশের নরপশু সদৃশ সামরিক বাহিনী কর্তৃক নিরীহ মযলুম রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর অমানুষিক নির্যাতনের ষ্টীমরোলার চালায়। ছুটে আসে তারা আশ্রয় নেওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী মুসলিম রাষ্ট্রের দিকে। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদীদের পদলেহী আমাদের মুসলিম নামধারী সরকার চূড়ান্ত অমানবিকতা প্রদর্শন করে তাদের এতটুকু আশ্রয় প্রদান করতে সম্মত হয়নি। বিশ্ববাসী এই অমানবিক নিপীড়নের মর্মান্তিক দৃশ্য অসহায়ের মত অশ্রুসজল নেত্রে অবলোকন করেছে। তাদের চোখে অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়েছে যে, মানুষের তৈরী করা বিভিন্ন মতবাদ ও তন্ত্রমন্ত্রের হোতাদের নগ্ন চেহারা কত বীভৎস। তাই সারাবিশ্ব এখন উন্মুখ হয়ে চেয়ে আছে মুক্তির প্রকৃত সত্য পথের দিকে।
উন্নত রাষ্ট্র আর উন্নয়নশীল বিকাশমান রাষ্ট্রের (মুসলিম বা অমুসলিম) দিকে দৃষ্টি দিলে সহজেই বুঝা যায় যে, বিশ্ব সভ্যতার সূচনাকারী এবং বিশ্ব মানবতার সুখ-শান্তি, নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদানকারী ও অধিকর্তা মুসলিম জাতির অবস্থা আজ অত্যন্ত করুণ। জাতিসংঘ ও ফ্যাসিবাদী সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে নিশ্চিহ্ন ও উজাড় করে চলেছে একের পর এক মুসলিম জনপদ ও দেশসমূহকে। পারমাণবিক বোমা নামক মারণাস্ত্রের আঘাতে জর্জরিত অসহায় মানবতা অত্যাচার-নির্যাতনে নিষ্পিষ্ট ও নিগৃহীত হচ্ছে অবিরত। অন্যদিকে চরম অনৈতিকতার বিস্তার ঘটছে তাদের চালু করা আকাশ সংস্কৃতির বিভিন্ন রকমারী আয়োজনের হিংস্র থাবায়। পাশাপাশি রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল (?) রাখতে অনুসরণ করছে মস্তিষ্কপ্রসূত নানা মতবাদের। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনুসরণ করছে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জাতীয়তাবাদ প্রভৃতি বস্ত্তবাদী মতাদর্শের। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনুসরণ করছে সূদ-ঘুষের পুঁজিবাদী অর্থনীতি। ধর্মীয় ক্ষেত্রে অনুসরণ করছে তথাকথিত মাযহাব, মতবাদ, ইযম, তরীকাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিশেষের মতাদর্শ। এছাড়া দেশের আদালতগুলিতে ইসলামী বিধান অনুযায়ী বিচার ব্যবস্থা না থাকায় মানবরচিত আইনে মুমিনকে জেল-ফাঁসি বরণ করতে হচ্ছে। ফলে আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা এবং সামাজিক অস্থিতিশীলতা ব্যাপকতা লাভ করেছে। এভাবেই সমস্ত দুনিয়া আজ মিথ্যা, অন্যায়, অকল্যাণের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।
ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা
মুসলিমদের সামগ্রিক জীবনে ইসলামপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামী খেলাফত বা রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। নির্ভেজাল তাওহিদ বা শিরকমুক্ত ঈমান বজায় রাখা, হালাল-হারাম উপার্জনের নিশ্চয়তা, জিনা-ধর্ষণ, হত্যারোধ, বৈষম্যমুক্ত অর্থনীতি প্রচলনসহ ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনের বাস্তবায়নে ইসলামী খেলাফত বিকল্পহীন একটি ব্যবস্থা। তাই এটিই ইসলামের একটি বড় ও জরুরি ফরজ। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহর নির্দেশ ও ঘোষণা হচ্ছে- ১. নিশ্চয়ই পৃথিবীতে আমি খলিফা (প্রতিনিধি শাসক) পাঠাব। (সূরা বাকারা, আয়াত-৩০) ২. আল্লাহর নাজিলকৃত বিধানানুযায়ী যারা বিচার করে না, তারা কাফির। যারা আল্লাহর বিধানানুযায়ী বিচারকার্য সম্পাদন করে না, তারা জালিম। যারা আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান অনুসারে বিচার করে না, তারা ফাসিক। (সূরা মায়িদা, আয়াত : ৪৪-৪৫-৪৭)
৩. আমরা আমাদের রাসূলগণকে প্রেরণ কর���ছি সুস্পষ্ট প্রমাণসহ এবং তাদের সাথে নাজিল করেছি কিতাব ও মিজান (দাঁড়িপাল্লা), যাতে লোকেরা ন্যায়বিচার করতে পারে। আমি লৌহ নাজিল করেছি, যাতে রয়েছে প্রচণ্ড শক্তি এবং মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ। (সূরা আল-হাদিদ, আয়াত-২৫) ৪. হে রাসূল, আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, আপনি তা দিয়ে বিচার-ফায়সালা/শাসন করুন। আপনার কাছে যে সত্য এসেছে, সে ব্যাপারে ওদের মনগড়া কথাবার্তার অনুসরণ করবেন না। (সূরা মায়িদা, আয়াত-৪৯) ৫. নিশ্চয়ই আমি আপনার ওপর সত্যতার সাথে কিতাব নাজিল করেছি, যাতে করে আপনি আল্লাহর দেখানো বিধান দিয়ে লোকদের মধ্যে বিচার ফায়সালা করতে পারেন। আর আপনি বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষে ওকালতি করবেন না। (সূরা নিসা, আয়াত-১০৫)
৬. হে দাউদ, আমি আপনাকে পৃথিবীতে খলিফা বানিয়েছি। অতএব, আপনি মানুষের মধ্যে সত্যতার সাথে বিচার-ফায়সালা করুন। প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। (সূরা সাদ, আয়াত-২৬) ৭. তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। (সূরা বাকারা-১০২) ৮. তিনি সেই মহান সত্তা, যিনি তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্যদ্বীনসহ পাঠিয়েছেন যেন তাঁকে সব দ্বীনের ওপর বিজয়ী করেন। (সূরা সফ-৯)
 
খলিফা কারা?
ইসলামি পরিভাষায় খলিফা হলেন এমন ব্যক্তি যিনি যাবতীয় বিষয়ে শরিয়ত অনুযায়ী সমস্ত উম্মতকে পরিচালিত করেন। ইসলামি রাষ্ট্রে খলিফা সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী। তিনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে গভর্নর, শাসক, নেতা, কাজি নিযুক্ত করেন।
খলিফা হওয়ার শর্তাবলি
শর্তগুলোর প্রধান কয়েকটি হলো:
মুসলিম হওয়া
প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়া
পুরুষ হওয়া
স্বাধীন হওয়া
ন্যায়পরায়ণ হওয়া
বিবেকসম্পন্ন হওয়া
জ্ঞান (ইলম) থাকা
উম্মাহ দরদী ও কাফেরদের সাথে আপোষহীন।
ইসলামী খেলাফত ব্যবস্থার মূলনীতি
youtube
খেলাফত বা ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার পদ্ধতি কি?
youtube
আসলে কি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সব সমস্যার সমাধান হবে 
youtube
ইসলামী খেলাফত ব্যবস্থার মূলনীতি
Principles of Islamic Caliphate System
0 notes
allahisourrabb · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন। মানুষ নিজ জীবনে আল্লাহর আনুগত্য ও পৃথিবীর বুকে তাঁর আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করে। আর এটা মানব সৃষ্টির অন্যতম উদ্দেশ্যও বটে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন, আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি।
’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৩০)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের অর্থ
পবিত্র কোরআনে প্রতিনিধি বোঝাতে ব্যবহৃত ‘খলিফা’ শব্দের অর্থ নির্ণয়ে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, মানুষ আল্লাহর শরিয়ত প্রতিষ্ঠা, বিধান বাস্তবায়ন ও একত্ববাদের আহ্বানের ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রতিনিধি। আর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মানুষকে আল্লাহ প্রতিনিধি বলেছেন। কেননা সে আল্লাহর মুকাল্লাফ (ইসলামী আইনের অধীন ব্যক্তি) ব্যক্তিদের ভেতর তার বিধান প্রয়োগ করে।
(তাফসিরে ইবনুল জাওজি, পৃষ্ঠা-২৬)
প্রতিনিধিত্ব আল্লাহর অনুগ্রহ
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভ করা মুমিনের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন। সুতরাং কেউ কুফরি করলে তার কুফরির জন্য সে নিজেই দায়ী হবে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ৩৯)
ব্যক্তি হিসেবে নবীরাই আল্লাহর প্রতিনিধি
পৃথিবীতে ব্যক্তি হিসেবে নবী-রাসুলরাই ছিলেন সরাসরি আল্লাহর প্রতিনিধি। এ জন্য যেকোনো নবীকে আল্লাহর খলিফা বলার সুযোগ আছে।
পবিত্র কোরআনে দাউদ (আ.)-কে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, ‘হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব, তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কোরো এবং খেয়ালখুশির অনুসরণ কোরো না, কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৬)
সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খলিফাতুল্লাহ বলা যাবে?
কিন্তু তাঁদের পরে কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ‘খলিফাতুল্লাহ’ বা আল্লাহর প্রতিনিধি সম্বোধন করা অনুচিত। এক ব্যক্তি ওমর (রা.)-কে খলিফাতুল্লাহ বলে সম্বোধন করলে তিনি তাকে ভর্ত্সনা করে বলেন, ‘তোমার অমঙ্গল হোক! তুমি কতই না দূরবর্তী সম্বোধন করলে। আমার মা আমার নাম রেখেছেন ওমর। তুমি যদি এই নামে আমাকে সম্বোধন করো আমি তা মেনে নেব।
অতঃপর বড় হলে আমার উপনাম হয়েছে আবু হাফস। তুমি আমাকে এই নামে সম্বোধন করলে আমি তা মেনে নেব। অতঃপর তোমরা আমার ওপর তোমাদের বিষয়গুলো তথা খিলাফতের দায়িত্ব অর্পণ করেছ এবং নাম রেখেছ আমিরুল মুমিনিন। তুমি যদি এই নামে সম্বোধন করো, সেটাই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (আল ফুতুহাতুর রব্বানিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-৫৬)
মুমিনরা পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি
আল্লাহ মানবজাতিকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টি করলেও পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করেন কেবল মুমিনরা। কেননা অবিশ্বাসীরা আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের শর্তগুলো ভঙ্গ করেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদের এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দ্বিনকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন। আর তাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে তাদেরকে অবশ্য নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে, আমার কোনো শরিক করবে না। অতঃপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে তারা সত্যত্যাগী।’
(সুরা : নুর, আয়াত : ৫৫)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভের শর্ত
উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব লাভের দুটি শর্ত আরোপ করেছেন : ঈমান আনা ও নেক কাজ করা। উভয় শর্তের অধীনে আছে আরো একাধিক শর্ত। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো—
১. আসমান তথা আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন
২. দ্বিনি লক্ষ্য অর্জনে কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার
৩. অন্তরে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
৪. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসাকে সব কিছুর ���পর প্রাধান্য দেওয়া
৫. পরকালকে ইহকালের ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৬. বিশুদ্ধ ঈমান ও আমলের মাধ্যমে পরকালের পাথেয় সংগ্রহ
৭. সমাজ ও রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন; যেমন—অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজবিজ্ঞান, কূটনীতি, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন
৮. জগত্বাসীকে মহান স্রষ্টার সঙ্গে যুক্ত করা এবং তাঁর পথে আহবান। (সুন্নাতুল্লাহ, পৃষ্ঠা-১৭১)
প্রতিনিধিত্ব পরিবর্তনশীল
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব ও বৈশ্বিক নেতৃত্ব পরিবর্তনশীল। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে বলল, শিগগিরই তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের শত্রু ধ্বংস করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। অতঃপর তোমরা কী করো তা তিনি লক্ষ করবেন।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১২৯)
আল্লাহ অযোগ্যকে প্রতিনিধিত্ব দেন না
আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব যোগ্য ব্যক্তিদের জন্যই নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং যারা অন্তরের বিশুদ্ধ বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে ভালো কাজ, বুদ্ধিবৃত্তি, শারীরিক সক্ষমতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় বলীয়ান হবে তারাই পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করবে এবং তারাই বৈশ্বিক নেতৃত্বের মুকুট লাভ করবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে পৃথিবীর নেতৃত্ব মানুষের হাতবদল হতে থাকে। নিম্নোক্ত আয়াতগুলো থেকে যা অনুধাবন করা যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি কিতাবে প্রত্যাদেশ দ্বারা বনি ইসরাঈলকে জানিয়েছিলাম, নিশ্চয়ই তোমরা পৃথিবীতে দুইবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমরা অতিশয় অহংকারে স্ফীত হবে। অতঃপর এই দুইয়ের প্রথমটির নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হলো, তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম আমার বান্দাদেরকে, যুদ্ধে অতিশয় শক্তিশালী; তারা ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সব ধ্বংস করেছিল। আর প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয়েই থাকে। অতঃপর আমি তোমাদেরকে পুনরায় তাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত করলাম, তোমাদেরকে ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করলাম এবং সংখ্যায় গরিষ্ঠ করলাম।’
(সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪-৬)
ধৈর্যই মুমিনের করণীয়
প্রায় শতাব্দীকাল যাবৎ মুসলিম জাতি পৃথিবীর নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়েছে এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে তারা কোণঠাসা। ফলে মুমিনের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তাহলে কেন আমরা বৈশ্বিক নেতৃত্বে নেই। এমন পরিস্থিতিতে মুমিনের করণীয় হলো ধৈর্য ও প্রত্যয়ের সঙ্গে নিজেদের বৈশ্বিক নেতৃত্বের যোগ্য করে তোলা। অবিশ্বাসীদের মন্তব্য ও তাচ্ছিল্যের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করা। আর অন্তরে এই বিশ্বাস রাখা যে আমরা যোগ্য হলে আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে নেতৃত্বে সমাসীন করবেন। কেননা আল্লাহর অঙ্গীকার হলো, ‘অতএব, তুমি ধৈর্য ধারণ করো, নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। যারা দৃঢ়বিশ্বাসী নয়, তারা যেন তোমাকে বিচলিত করতে না পারে।’
(সুরা : রোম, আয়াত : ৬০)
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
সৃষ্টি যার বিধান তাঁর
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন?
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
0 notes