এটি একটি স্বপ্ন লিপি । এটি আমার স্বপ্ন লিপি। ঘুম থেকে উঠেই লিখছি!
Don't wanna be here? Send us removal request.
Text
ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
পাবলো এসকোবার আমার মামা। আমারে একটা জব দিছে আর পকেটের মধ্যে ঢুকাইয়া দিছে পিস্তল সাইজ একটা হাফ অটোমেটেড মেশিনগান। আমি অবাক হইছি দুইটা কারণে, পিস্তল সাইজ এমন অটোমেটেড মেশিনগান পৃথিবীতে আছে এইটা আমার ধারনা ছিলো না, সাইজটা অনেক কিউট আর বডিটা গ্লোসি ব্র্যাক। সহসায় পকেটে এটে যায় শুধু ম্যাগাজিনের তলটা হাটার সময় পকেট উপচে উঁকি দেয়, আর এইটার বিচিগুলা একদম আনকরা; বিশেষ ট্যাকনোলজির ম্যাগাজিন যেখানে দুই রকম সাইজের বিচি ভরা যায়, একটা মানুষ জীব যন্তু আর প্রানীকুলের জন্য; আরেকটা যন্ত্র, দানব আর অট্রালিকা নিমিষেই ধংস করে দেওয়া ক্ষমতা সম্পন্ন ৯ ইঞ্চির মাল। আমি এমন ফ্লেক্সিবল ইন্টেলিজেন্স ম্যাগাজিন কখনো দেখি নাই যেটা একই সাথে ছয় ইঞ্চি আর নয় ইঞ্চি বিচি ধারন করতে পারে এবং যেকোন সাইজের বাঁধা মোকাবেলা করতে পারে।
পাবলো মামা আমার বড় মামা। মামারা তিন ভাই আর ��ুই বোন। প্রথমেই পাবলো মামা, তারপর আমার মা, তারপর সেলিম মামা তারপর রাহেলা খালা তারপর আরেকটা মামা; যতটুক জানি পাবলো মামা ছোটবেলা থেইকাই পরিবারের হাল ধরছে, সবাইরে সেটেল করছে আর এই মুহুর্তে তিনি বাসা নিছেন ধানমণ্ডি শুত্রাবাদে। মামার বাড়ি দুইতলা বিশিষ্ট হইলেও বিশাল এলাকা জুড়ে মামার বসবাস, গেইট দিয়া ঢুইকাই আমার মনে হইছে এইটা মামা রিসেন্টলি আবাসস্থল কারণ মামার এই বাড়ির গল্প মায়ের মুখ থেকে কথনোই শুনি নাই, তবে নানা বাড়ির গল্প শুনছিলাম যেখানে পাঁচট খানা ছোট-বড় বাড়ি, একটা ব্যাক্তিগত মাঝারি সাইজ পুকুর আর বিশাল এক সমবায় পুকুর নিয়া নানার বসবাস ছিলো; যেটা নানার প্রিমিটিভ সময়ের একান্তই গ্রাম্য সামাজিক আর পারিবারিক লেগেছি। সেই লেগেছির পরাম্পরাই কিনা, পাবলো মামার বাড়ির আঙ্গিনায় দেখলাম বিশাল পুকুর নয়, একটা আস্ত নদী ধারন করে আছে। এই আমার পাবলো মামা যিনি বাড়ির আঙ্গিনায় নদী ধারন করে রেখেছেন তিনি আমাকে একটা জব দিছেন।
আমার সেলিম মামারে একটা বিঁচি খাইয়ে দিতে হবে। এন্ড পাবলো মামা সেইড: ইউ হ্যাভ টু ডান দিস জব বাই দিস নাইট, আই রিপিট বাই দিস নাইট। পাবলো মামার বাড়ির কয়েক বাসা পরেই নানা বাড়ি, সেলিম মামা এই মুহুর্তে সেখানেই আছে। আমি পকেটে হাত ঢুকাইয়া পায়চারি করি, বিভিন্ন প্ল্যান করি আর চকচকে পিস্তল সাইজ মেশিনগানটার গায়ে হাত দেই; এই মুহুর্তে আমা প্রায় তিন লাখ টাকা দরকার, অনেক দিন ধরেই জবলেস, ফলে এনি কাইন্ড অব জব আই এম রেডি টু ডু; আফটারঅল আই লাইক পাবলো মামা। আই লাইক পাবলো মামা মনে হতেই বুকটা হুহু করে উঠলো, মামী কই? পাবলো মামী, শি ইজ সো বিউটিফুল ওমেন আই হ্যাভ এভার সিন ইন মাই লাইফ। মামার বাসায় মামীরওতো থাকার কথা ছিলো, কিন্তু মামীর দেখা এখনো পেলাম না।
কিলিং প্ল্যানটা এমন যে রাহেলা খালাকে পাবলো মামার বাসায় ডাকা হইছে, খালার সাথেই আমি গেস্ট হয়ে সেলিম মামার বাসায় যাবো, জব হয়ে গেলেই সেলিম মামার বাড়ির পিছন থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার, তারপর পাবলো মামার প্রাইভেট নদীতে এসে কানেক্ট করবো পাবলো মামাকে। রিপোর্ট করেই আমি ফ্লাই করবো কেমব্রিজ, ম্যাসাচুসেট্স।। সমস্যা হলো রাহেলা খালা দেরি করছে, এখনো আসছে না। খালার একটা অদ্ভুত রোগ আছে, যখন তখন মাথা ব্যাথা হয়, এতোটাই ব্যাথা হয় যে মাথা ব্যাথায় খালা অনবরত বমি করতে থাকে। আমি পাবলো মামার বারান্দায় দাঁড়িয়ে পকেটে হাত গুজে মেশিন ধরি, নদী দেখি আর রাহেলা খালার বমির শব্দ পেতে থাকি।
আমি বারান্দায় দাঁড়াইয়া ��ছি, আমি বারান্দায় দাঁড়াইয়া থাকি। নদী দেখি।
0 notes
Text
জুন ০৭, ২০০৭ (সকাল ১০ টা ২ মিনিট)
আমি ক্লান্ত কিংবা নিদ্রালু, এখন ঠিক মনে নেই, শুধু যেটা মনে আছে সেটা হলো ঘোরাচ্ছন্ন। আমি একটা ক্লাসের দরজার সামনে দাড়িয়ে আছি। আমার ধারনা ছিলা আজ আমাদের ক্লাস নেই কিংবা ক্লাস বিষয়ক একটা অস্পষ্ট ধারনা ছিল। বিশেষ করে সময় বিষয়ক। মানে ক্লাস কখন সেটা হয়তো ভুলে গেছি। তো আমি আমার ক্লাসের দরজার সামনে দাড়িয়ে আছি, দেখলাম ভিতরে ক্লাস চলছে। চোখে খুব ভালো দেখছিলাম না। শুধু একটা ধারনা পাচ্ছিলাম। আমি ছাত্রদের ইঙ্গিত করে দেখালাম, বললাম আমি কি ভিতরে আসবো? কয়েকজন ইঙ্গিত করে বললো ভিতরে ঢুকে যেতে। আমি দরজা থেকে দাড়িয়ে আমাদের ��িক্ষক কে তা দেখতে পাচ্ছিলাম না তবে শুধু একটা অবয়ব দেখা যাচ্ছিল। আসলে শুধু অবয়ব না আরেকটু বেশী তবে আবার এতো বেশী না যে যাতে করে চিনতে পারি কে ক্লাশ নিচ্ছিলো। শুধু এইটুকু অনুমান করতে পেরেছিলাম আমাদের ক্লাস নিচ্ছিলেন একজন শিক্ষিকা।
স্কুলের মতই ভাবলাম ম্যাডামকে বলি, আসবো ম্যাডাম? কিন্তু এই অনুমতি নেবার আগেই আমার সহপাঠিরা আমাকে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিল অনুমতির দরকার নেই। ফলে আমি অনুমতি না নিয়েই ক্লাসে ঢুকে পরলাম।
পরমুহুর্তে আমি আবিস্কার করলাম আমি যে ছাত্রদের মধ্যে বসে আছি তাদের কাউকেই চিনি না, শুধু মাত্র হেলাল (সামসুল আলম হেলাল) ব্যাতিত। হেলালের সাথে ভাববিনিময়ের পর আর কিছু মনে নেই। শুধু মনে আছে আমি হয়তো ক্লান্ত কিংবা অবসাধগ্রস্থ।
নিজেকে আবিস্কার করলাম একটা সোফায়। এইমাত্র চোখ খুললাম। একটা রুম, সেখানে একটা ডেস্ক আছে, কিছু বাক্স পাটোরা। একজন আয়া হয়তো ডেস্ক পরিস্কার করছিলো। আমি ওনাকে জিগ্গেস করলাম আমি কোথায়? এখানে এ��াম কি করে? তিনি বললেন আমি ক্লাসে খুমিয়ে পরেছিলাম এবং আমাদের শিক্ষিকা আমাকে এখানে রেখে গেছে। আমি তখন বুঝলাম এটা আমাদের শিক্ষিকার রুম।
আমাদের শিক্ষিকার রুমটা এমন যেন মনে হলো উনি এখানেই থাকে। একটা মেয়েকে দেখলাম বাইশ-তেইশ বছরের হয়তে। সুন্দর ছিল মেয়েটি। মনে হলো এই মেয়েটি আমাদের শিক্ষিকার মেয়ে।
পরমুহুর্তে আমি নিজেকে আবিস্কার করলাম ফ্লোরে, ম্যাডাম তার বাক্সপাটোরা ঘুচাচ্ছে মাটিতে বসে আর আমি তার পাশাপাশি বসে আছি। আমি ম্যাডামকে জিগ্গেস করলাম আমি কি করছি এই কলেজে?
ম্যাডাম বললো আমি ডিগ্রিতে পরছি, গত দুই-তিন বছর হলো। আমি বললাম আমার কিছুই মনে নেই আমি কিছু মনে করতে পারছি না। এই প্রথম আমি ম্যাডামের মুখোমুখি এবং পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি।
খুবই সুন্দর মহিলা। সুন্দর মানে সিম্পল। বয়স চল্লিশের কাছে হবে কিংবা আটত্রিশ(বয়স অনুমানের ক্ষেত্রে আমি খুবই অপারদর্শী)। চেহারা একটু লাম্বাটে। রং সাদা, খুব সাদা নয়। পড়নে হালকা গেড়ুয়া রঙয়ের সুতি শাড়ি। খুব সাধারন করে পড়া। মহিলাটি চমৎকার এবং একবার দেখেই মনে হয় হাজার বছরের চেনা, এই রকম।
তিনি বললেন, তোমার কি মনে আছে যে, তুমি সবার সামনে আমাকে তোমাতের ক্লাস রুমে হাগ দিয়েছিলে? ম্যাডাম তার বাক্সপাটোরা গুছাতে গুছাতে মাটিতে বসে আমারা পাশাপাশি, আমার চোখে তাকিয়ে এই প্রশ্ন করলে আমি আকাশ থেকে পড়লাম। অথচ আমার কিছুই মনে নেই। আমি ম্যাডামের উদ্দেশ্য না সূচক মাথা নাড়ালাম।
নিজের প্রতি রাগ হলো প্রচন্ড। রাগ হলো ম্যাডামকে হাগ দেবার জন্য না, সবকিছু ভুলে যাবার জন্য।
একই সাথে মিশ্র অনুভুতি হতে থাকলো। শিক্ষিকার প্রতি ভালোবাসা এবং রেস্পেক্ট অনুভব করলাম তীক্ষ্ন ভাবে আর সবকিছু ভুলে যাবার, সবকিছু হারানোর ব্যাথা অনুভব করতে থাকলাম একই সাথে। তিনি বাক্সপাটোরা ঘুছিয়ে বাইরের দিকে গেলেন, ওনার রুমের পাশেই সীমানা প্রাচীর। তিনি খালি পায়ে সেই সীমানা প্রাচীরের দিকে যেতে থাকলেন আমিও ওনার পিছর পিছন সেই প্রাচীরের কাছে গেলাম। আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারলাম প্রচীরের অপরদিকে এমন কিছু হচ্ছে যেটায় আমরা আগ্রহী। তিনি সীমানা প্রাচীরের কাছাকাছি যেয়ে পায়ের আঙ্গুলে ভর করে অপর দিকে দেখার চেষ্ট করছিলেন। হয়তো অনেকগুলো আলো দেখতে পেলেন, আমি পিছন থেকে দেখার চেষ্টা করছিলাম, আলো আসছে এমন একটা অবস্থায় ঘুম ভেঙ্গে যায়। সেই মহিলা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মহিলা বলে মনে হলো। ধানমণ্ডি এগারো/ এ
0 notes
Text
স্বপ্নটা খুব ছোট এবং সাধারন। সাধারন বলছি এই অর্থে যে, স্বপ্নটা দেখার সময় খুবই স্বাভাবিক মনে হয়েছে। গত রাতে ঘুমিয়েছি রাত ৪ টা ৩৮ সময়ে। ঘুম ভেঙ্গেছে সকাল ১০ টা ১৭ এর দিকে। মাঝে একবার সকাল ৭টায় ঘুম ভেঙ্গে গেলেও আবার ঘুমিয়ে পরি। স্বপ্নটা ঠিক কোন সময়ে দেখেছি তা মনে নেই। আমার উরুর সংযোগ স্থলে চুলকানি হচ্ছে। উপযুক্ত চুলকানোর পর উরুর দিকে চোখ যায়। দেখলাম ২/৩ টা ম্যাগট আমার উরুতে। দেখে মনে হলো উরুর ভিতর থেকে বের হল। আমি ম্যাগট গুলোকে ফেলে দিলাম। পরবর্তীতে মনে হলো আরো কিছু ম্যাগট আছে এবং কাপড় ��ুলে লক্ষ করলাম আমার দুই উরু ভর্তী ম্যাগট। ভিতর থেকে বের হচ্ছে। আমি সবগুলো ম্যাগট ফেলে দিলাম। দেখলাম চামড়ার কোথাও বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে কোথাও ছোট ছোট ম্যাগট উৎপাদন কারখানা আবার কোথায় অনেক বড় বড় ম্যাগট। কিছু সাদা, কিছু কালো আবার সবুজ রংএর ম্যাগটও ছিল। তো সবগুলো ম্যাগট ঝেড়ে ফেললাম। বিছানা থেকে উঠে দেখি বিছানায় ম্যাহটের স্তুপ হয়ে আছে। শুধু বিছানায় না, ফ্লোরেও বিভিন্ন সাইজ আর আকারের ম্যাগট পরে আছে। এদের মধ্য অনেকগুলোই নড়াচরা করছে। তার মধ্য দেখলাম বিশাল সাইজের সবুজ একটা আপেলের পোকাও আছে, যেটা নড়াচড়া করছে। ঘুম থেকে জেগে উপলব্দি করলাম, স্বপ্নটায় আমার গা ঘিন ঘিন করছে।
0 notes
Text
মে ৩১, ২০১৬
অনেক দিন স্বপ্ন দেখি না কিংবা দেখি কিন্তু ভুলে যাই আবার এমনও হয় যে, স্বপ্ন দেখি এবং আলসেমিতে লেখা হয় না। হয়তো গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না। দেখলাম আমরা পুরা পরিবার ইন্ডিয়াতে। বাবার অফিস বদলির কারণে আমরা এখন ইন্ডিয়ায়। এইটা একটা কলোনি এবং এই কলোনিতে আমরা থাকি। আমরা যে ফ্ল্যাট এ থাকি সেটা পুরানো এবং খানিকটা ভাঙ্গা চুড়া। আমাদের আগে যারা এই ফ্ল্যাটে ছিল তারা ঠিক মত যত্ন নেয় নাই বলে মনে হল।
আমাদের পরিবারের সবাই আমরা একসাথে থাকি ঠিক আগের দিনগুলার মতই। আমরা সবাই হয়তো ছোট ছোট। আবার কোন একটা এলাকায় আমি আর প্রতিক যাই। এলাকাটা কেমন যেন, একটু উদ্ভট! রাস্তা ও কেমন যেন। তো আমরা একটা বাসায় যাই। হয়তো কোন সাপ্লাই এর জন্য। মদ কিংবা গাজা। একজন উদ্ভট মহিলার সাথে দেখা করারা জন্য আমরা বসে আছি। আমরা তার বসার ঘরে বসে আছি। কিছুক্ষন পর মহিলাটা আসলো এবং মহিলাটার সাথে একটা পেট(পোষা বিড়াল) ছিল। বিগালটা দেখে আমি বললাম, হায়! কি কিউট। বিগালটা আমাদের সাথে বল থেললো। বাচ্চারা গেযমন খেল সেইরকম। বিগালটা বল ছুড়ে মারবে আমাকে ধরতে হবে আবার আমি বল ছুড়ে মারবো বিড়ালটা খেলবে। এই খেলা।
বিড়ালটা একটু অদ্ভুদ ছিল।
বিলালের পা গুলো বানরের মত। মানে দেখে মনে হয় মানুষের হাতের কব্জি। চারটা পা ই এই রকম। শরীরে পুরা বিড়াল। গায়ের লোমগুলে একটু বড় বড় আর মসৃন। লাল রঙের। তবে গলায় আবার সিংহের মতো কেশর ছিল। এই বিড়ালটাকে দেখে কিউট ছাড়া আর কিছু মনে হয় নি এবং খুবই স্বাভাবিক মনে হয়েছে। যেহেতু বাচ্চা ছিল কাই একটু ছটফটে ছিল। অভাক হয়েছি বিড়ালটা মানুষের কথা বোঝে এইটা বুজতে পেরে।
বিড়ালটা এইটা ঐটা ধরছে। দেখছে। হুট করে ওয়ালের রেক থেকে একটা বগ মোড়ানো কাগজ বের করলো। সাথে সাথে মহিলাটা চিৎকার করলো না ধরার জন্য কিন্তু ততক্ষনে ঠিক মত সেই মোড়ানো কাগজ রেক থেকে নামাতে পারে নি বলে সেই জিনিসটা পড়লো প্রকিত আম সেই মহিলার মাথায়। ভিতর থেকে এক ধরনের পাউডারের মত জিনিস বের হল। বুঝতে পারলাম এইটা কোন এক্সপেন্সিভ ড্রাগ হবে হয়তো। রুমটা সাথে সাথে সেই ড্রাগের গন্ধে ভরে গেল এবং ওদের দুইজনতে সেই ড্রাগ ইফেক্ট করা শুরু করলো।
মহিলাটা বিযালটাকে বললো বল নিয়ে খেল। আর অমনি বিড়ালটা একটা বল নিয়ে আসলো কোথা থেকে আর আমার সাথে খেলতে শুরু করলো। প্রতিক মহিলাটার সাথে কথা বলতে লাগলো। আমি দেখলাম ওর পাগুলো যেহেতু বানরের মত তাই ওর বল ধরার ক্ষমতা আরো বেটার। আমি একু জোরে এবং দূরে বল মারলে মহিলাটা বললো রুমের বাইরে যেন না মারি। বল খেলতে খেলতে ঘুম ভেঙ্গে গেল আর দেখি আমার শরীর কাঁপছে। ভুম ভেঙ্গে অনেক ভয় পেলাম তবে ঘুমের মধ্যে একটুও ভয় লাগে নি।
0 notes
Text
জানুয়ারী ০১, ২০১৬
দেখলাম আমি সুইপার কলোনিতে একটা বারান্ধায় হাটতেছি, আমার সাথে পুরানো এক জন আছে, আমার আগের পরিচিত, আমরা কোথাও যাচ্ছিলাম; বারান্ধায় হটাৎ লাল্লু ভাই এর সাথে দেখা, লাল্লু ভাই আমাদের স্কুলে কাজ করতের, ঝাড়ু দিতেন আর ঘন্টা মারতেন; তো দেখলাম লাল্লু ভাই তার আরেক ভাই এর সাথে বারান্ধায় একটা টেবিল পে��ে কিছু একটা খাচ্ছে হয়তো, সকালের নাস্তা ! তো লাল্লু ভাই’কে দেখে দাড়ালাম বললাম কি খবর ভাই? আমি আবার ছবি তুলতে আসছি, বললাম রানু দি এখনো স্কুলে কাজ করে। রানু দি ও লাল্লু ভাই এর মত আরেকজর কর্মচারী আমাদের স্কুলের। তো লাল্লু ভাই কে বললাম, আপনার একটা ছবি তুলে রাখতে চাই, কখন কি হয়ে যায় বলা যায় না, আমি মৃত্যুএ বিষয়টা ইঙ্গিত করি, লাল্লু ভাই বলে ঠিক আছে ঠিক আছে, বিষয়টা এমন যেন তিনি একটা পরে আমার সাথে দেখা করতে আসছেন।
লাল্লু ভাইকে পিছনে ফেল সামনে এগিয়ে যাই সেই মানুষটার সাথে, সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে দেখি পাতারের মত একটা অদ্ভুত জায়গা, সেইখানে আরো কয়েকজন আছে, সকলেই মোটামুটি পরিচিত; ওরাও হয়তো কোন খাবার শেষ করলো, হয়তো সকালের নাস্তা।
তাদের মধ্যে একজনের সাথে আলাপ শুরু হলো, তাকে বললাম যে ক্যামেরা নষ্ট হয়ে গেছে এই জন্য এতো দিন আসতে পারি নাই, সে বিষয়টায় মনে হয় একটু কষ্ট পেল্। আমি কথা ��িলাম এখন থেকে নিয়মত আসবো। স্বপ্নে ভাবতেছিলাম কোন এক বন্ধুর কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে এসে ওদের ছবি তুলবো। সুইপার কলোনিটা অদ্ভুত লাগলো কারন সেইখানে কোন বাচ্চা ছেলে পেলে দেখলাম না আর লোক সংখ্যা যেন খুবই কম ! ঘুম থেকে জেগে উঠে মনে হলো লাল্লু ভাই অনেক বছর আগেই মারা গেছে।
0 notes
Text
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫
দেখলাম রকেটে কইরা আমাকে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে, জোর করেই পাঠানো হচ্ছে, রকেটের গোল গোল জানালায় দেখলাম সবে মাত্র পৃথীবি ছাড়লাম। যেহেতু পুরা রকেটে আমি একা তাই আমি লোনলি ফিল করতে লাগলাম। ভীষন একাকিত্ব ফি��িং নিয়ে ঘুম ভেঙ্গে দেখি রাত ২ টা ৩৫। আবার ঘুমালাম। একাকিত্ব অনুভুতিটা এখনো যায় নাই।
0 notes
Text
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
ছবি মেলা হইতেছে হয়তো, তবে অন্য ফর্মেটে ! মাঠের মধ্যে পেন্ডেল টাঙাইয়া, সামনে মাইক নিয়া প্রেজেন্টেশন ! কিউ আর আমি একই জায়গায়, বসে কিংবা শুয়ে আছি; যে যার জায়গায়, শুধু আগের দুরুত্বটা নাই। কিউ কে বলেই ফেললাম, চল প্রেম করি।
মাঠে ছবি মেলার যে পেন্ডেলটা কর�� হয় তাতে দেশী বিদেশী অতিথিরা ভিড় করে আর পেন্ডেলের একটু দুরেই কচি সবুজ ঘাসের মাঠে চলতে থাকে পরবর্তী প্রেজেন্টেশন প্রস্তুতি।
ছবি মেলা কিংবা অন্য কোন মেলা, যাই হোক। দর্শক সারিতে দেখলাম আনিকা শাহ তার বান্ধবী পিঙকি কে নিয়া আসছে। আমি দর্শকের চারপাশে একটা চক্কর মারতেই দেখি স্কুলের পুরানো বন্ধুরা আসছে এই মেলায়। কলি আমার নাম ধরে ডাকে, সাথে আরেকটা মেয়ে থাকে যাকে আমি চিনতে পারি না পুরোপুরি কিন্তু সে ও আমাদের সহপাঠী ছিল একটা সময়ে, পুরোপুরি স্কুল পাশ করে নি আমাদের সাথে, অন্য কোন স্কুলে হয়তো চলো গেছে কখনো। সেই সাথে সাথে মেলা শেষ হয়ে যেতে থাকে, সবাই সবার বাড়ি ফিরতে থাকে, আমি আমার স্কুলের বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করি, বন্ধুদের সাথে এবার যোগ হয় মনিকা। মনিকা খালাম্মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছে আর তার সাথে অন্যান্য বন্ধুরা আছে আমার।
খালাম্মার সাথে কথা হয়! মনিকার সাথেও কথা হয়, কথার এক পর্যায়ে মনে হলও তারা সবাই আমাকে একটু এড়িয়ে যাচ্ছে ! কারণ বুঝি না। পরে দেখি আমার শার্টের বুতাম সব খোলা, বুক আর পেট দেখা যায় অকপটে। শর্টের বুতাম লাগানোর চেষ্টা করেও কোন কাজ হচ্ছে না, পরবর্তীতে, একটু পর, আবার খুলে যাচ্ছে।
প্রতিক বাসা পাল্টাইছে। আমাদের বক্সনগর বাসার পাশের বাসায়(ডেমরায় আমরা এখন যে বাসায় থাকি সেই বাসায় উঠার আগে পাশের একটা বাসায় আমরা ভাড়া আসি এবং নিজের জায়গায় বাড়ি করার কাজ করি)। প্রতিকের মা কে দেখলাম না। মা এর কথা জিজ্ঞেস করলাম প্রতিক কিছু বললও না। প্রতিককে বললাম এইটা আমাদের পুরানো বাসা, এইখানে আমরা থাকতাম আগে, প্রতিক তার পুরানো জিনিস পত্র সাজানোর কাজে ব্যস্ত, পুরানো পুরানো স্মৃতি জড়িত। আমি বললাম, তুমি চাইলেই আমি কাঠের একটা শেল্ফ বানায়ে দিতে পারি, এই জিনিস পত্রগুলা সব স্টোর করতে পারবা।
প্রতিকের বাসা থেকে আমার বাসা দেখা যায় এমনকি ঘর দেখা যায় এবং মাঝে মাঝে মানুষ দেখা যায়। প্রতিকের বাসার উঠানে দাড়িয়ে আছি, বৃষ্টি হচ্ছে হালকা। আমাদের বাসার টিনের চাল দেখা যায়, বাবা দেখলাম এটা বাস নিয়া টিনের চালের পানি পরা বন্ধ করার চেষ্টা করছে ! আপার রুমে দেখলাম, মনি আর আপা ! ওরা শাড়ি পরা আর আয়নার সামনে দাড়িয়ে সাজ সজ্জা করছে, আমার দিকে একবার তাকিয়ে হাসলো! মনি আর আপা দুইজনই ছোট, দশ বছর আগের কোন ছবি। কিন্তু মা কে দেখি নাই বাসায়।
0 notes
Text
৪ জানুয়ারী ২০১৫
৪জানুয়ারী ২০১৫/ সকাল: ৯৩৫
আমি আমাদের পুরানো কোয়ার্টারে আছি, আগেরই মতো কিন্তু এই এখনকার বয়সে। আগেরই মতো পুরানো কোয়ার্টার, পুরানো বাসিন্দারাও আছে এমন আশা করেছি স্বপ্নে। সেই কোয়ার্টার থেকে বের হলাম সিগারেট খাব বলে, রাস্তাটা আগের মতই আছে শুধু একটু বদলিয়েছে।
আশেপাশে তাকাতেই দেখলাম ফলের দোকান এবং আড়ত। বিশাল বড় সাইজের কাচা পেঁপে দেখলাম, আরও দেখলাম আনারস আর কিছু একটা ফল, এখন আর মনে নেই; দেখলাম ফল পাকানোর নতুন প্রক্রিয়া পেয়েছে ওরা। কাচা ফল সিদ্ধ করছে। আমি রাস্তা পার হতে হতে দেখলাম সিদ্ধ কাঁচা ফলের ওজন মাপছে। এই ফল এখন রোদে শুকালেই নাকি পাকা হয়ে যাবে।
অথচ, আমার পৃথিবীর বন্ধুদের দেখছি সেইখানে মাঝে মাঝে। আমি হাটতে হাটতে হারিয়ে গেলাম কিংবা আমাদের স্টেশন থেকে ছোট একটা বাহনে করে চাঁদের অন্য কোন অঞ্চলে গেলাম। আমি একটা শুনশান নীরব এলাকায় এসে পড়লাম, হটাত দেখি চাঁদের মাটিটা এভারেস্ট পর্বতের মতো। মানে যেখানে বালি থাকার কথা সেখানে বরফ! একটু পর দেখলাম সেই বরফ ফুলে ফেঁপে উঠছে এবং সব কিছু সেই বরফের মধ্যে তলিয়ে যাচ্ছে। আমি ভয় পেলাম। মনে হল এটা সেই বিশেষ ৫০ ফুট এলাকার মধ্যে হচ্ছে। আমি কোনরকম বেঁচে গেলাম। সেই বরফ ধসের এলাকা থেকে বেঁচে তার পাশেই একটা জাল দেয়া জায়গায় আশ্রয় নিলাম এবং সেখানে দেখলাম আমার আরও অনেক বন্ধু আমার মতই আশ্রয় নিয়েছে। কাউকে তেমন চিনলমা না শুধু প্রতীক কে চিনলাম। আমরা দূর থেক সেই বরফ ধস দেখছি আর ভাবছি আহ! আমরা ভাগ্যবান।
এমনটাই হবার কথা ছিল যে, আমরা সেইখানে একমাত্র প্রনী। আমরা হয়তো চাঁদের সেই কোয়ার্টারে আজকেই এসেছি পৃথিবী থেকে, এই জন্য হয়তো একটু এক্সপ্লোরেশন চলছিলো। তো যাই হোক, আমরা সেই উপগ্রহে একমাত্র প্রনী এমনটাই আমরা সবাই হয়তো জানতাম। কিন্তু হটাত আবিষ্কার করলমা একটা নাদুস নুদুস, তাগড়া ঘোড়া। সাদা আর হালকা লাল রং শরীরে মিলেমিশে ছিল।
কিছুক্ষণ পরে দেখলাম, একটা দৈত্য সাইজের বিশাল আকারের মানুষ আমাদের মাঠে এবং আমাদের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। আমরা সবাই ভয়ে অস্থির। পরে আবিষ্কার করলাম সেই লোকটা আমাদের দেখতে পাচ্ছে না। এই রকম আরও অনেক দৈত্য সেই মাঠে আবিষ্কার করলাম, ওরা একটা সময়ে আমাদে কাছা কাছি, খুব কাছাকাছি চলে আসে, ঘুরাফেরা করে, একটু দৈড়ায় আবার চলে যায়, কিন্তু আমাদের দেখতে পায় না ! বেসিক্যালি মানুষ গুলো অনেক অনেক বড়, সিনেমার মনস্টারের মতো সাইজের আর নোংরা কাপড় পরে আছে আ�� মাঝে মাঝে বাচ্চাদের মতো কাজ কাম করে। আমরা খুশি ছিলাম যে এই দৈত্যগুলি আমাদের দেখতে পাচ্ছে না।
পরে বুঝলাম, আমরা একটা গোল পোস্ট এ আশ্রয় নিয়েছিলাম, আর দৈত্যগুলো চোখ বেঁধে সেই মাঠে ফুটবল খেলছিলও। তারা চাঁদের আদি বাসিন্দা।
0 notes
Text
৩০ ডিসেম্বর ২০১৪
মেয়েটা একটা শাদা শাড়ী পরে আছে। মেয়েটাকে অনেক সুন্দর লাগছিলে, আমরা অনেক সময় কাটিয়ে ফিরে আসার সময় মনে হল আমি মেয়েটার নাম জানি না। মেয়েটাকে জিগ্গেস করলাম, মেয়েটা তার নাম বললো। সেই নামটা আমি এখন আবার ভুলে গেছি।
মা কে দেখলাম, মারা যাবে প্রায়। সমস্ত শরীর সাদা সাদা হয়ে গেছে। মা শুকিয়ে গেছে আর আমরা যারা জীবিত আছি আদের কাছাকাছি আসতে চায় না। অনেক কষ্ট পেয়ে ঘুম ভাঙ্গে।
0 notes